
বাঁকুড়া: কলকাতায় চিকিৎসারত এক ক্যানসার রোগীকে সশরীরে শুনানি কেন্দ্রে হাজিরার নোটিস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনীয় নথি দেখিয়ে পুরসভার তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছিল কমিশনের আধিকারিকদের। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রতিবাদে বাঁকুড়ার এডোয়ার্ড মেমোরিয়াল হলের শুনানি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বাঁকুড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
বাঁকুড়া শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেরানীবাজার এলাকার রাসু বাবু লেনের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা মোহন চন্দ্র লাহা। পেশায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত ওই চিকিৎসক সম্প্রতি ক্যনসারে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় চিকিৎসাধীন আছেন। কেমোথেরাপির জন্য তাঁকে কলকাতাতেই থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় এসআইআর-এর এনুমারেশান ফর্মে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দিতে না পারায় মোহন চন্দ্র লাহাকে শুনানির জন্য তলব করে কমিশন। এদিন বাঁকুড়া শহরের এডোয়ার্ড মেমোরিয়াল হলের শুনানি কেন্দ্রে সশরীরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কলকাতায় চিকিৎসাধীন থাকায় অবসরপ্রাপ্ত ওই চিকিৎসক এদিন হাজির হতে পারেননি শুনানি কেন্দ্রে। বদলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর তাঁর নথিপত্র নিয়ে হাজির হন শুনানি কেন্দ্রে। মোহন চন্দ্র লাহার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁর হাজিরার নির্দেশ বাতিল করে নথির ভিত্তিতে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন জানানো হয়। অভিযোগ শুনানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কনিশনের আধিকারিকরা নথির ভিত্তিতে শুনানি না করে অসুস্থ ওই ভোটারকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ বহাল রাখেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এডোয়ার্ড মেমোরিয়াল হলের শুনানি কেন্দ্রের সামনে স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলর রাজীব দে।
রাজীববাবুর দাবি, নির্বাচন কমিশনের এই অন্যায় ও অমানবিক আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কোনও অজুহাতেই তাঁরা ওই বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে দেবেন না। যদিও বিজেপির বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য সুনীল বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি, ওই ভোটারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিশ্চিতভাবেই সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।