বাঁকুড়া : একদিকে যখন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) মুখ পুড়ছে সরকারের সেখানে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে প্রায়শই এসেছে বিক্ষোভের ছবি। দাবি একটাই, স্কুলের ফাঁকা পদে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে শিক্ষক। শিক্ষকের অভাবে লাঠে উঠছে পড়াশোনা। এদিকে এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়া এলাকায় এবার প্রাথমিক স্কুলে (Primary School) নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অঙ্ক ও ইংরাজি পড়াবেন সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার শিক্ষিত সিভিক কর্মীরা। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তোপ দাগতে শুরু করেছে বিজেপি (BJP)।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসায় আদালতের নির্দেশে বহু শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। চাকরি গিয়েছে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি সহ শিক্ষা কর্মীদেরও। এরই মাঝে শিক্ষক বদলি নীতির জেরে ক্রমশ ফাঁকা হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলি। সব মিলিয়ে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে পড়ুয়ারা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে এই জেলাতেই প্রায় আটশো এমন স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা তিরিশের নিচে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে শিক্ষার হাল ধরতে অঙ্কুর নামের নতুন প্রকল্প চালু করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।
জেলার জঙ্গলমহল এলাকার মাওবাদী প্রভাবিত পাঁচটি থানা এলাকার প্রতিটি অঞ্চলের একটি করে প্রাথমিক স্কুল এবং জেলার অন্যান্য থানা গুলির প্রতিটিতে একটি করে প্রাথমিক স্কুলকে চিহ্নিত করে চালু করা হচ্ছে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষিত দুজন করে শিক্ষিত সিভিক কর্মীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াবেন বলে স্থির হয়েছে। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এ বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগেছেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা বাচ্চাদের অঙ্ক-ইংরাজি শেখাবে এটা একবিংশ শতাব্দীতে পশ্চিমবাংলার লজ্জা। এখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে। সরকার যদি শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে না পারে তাহলে সরকার দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করুক।”