বাঁকুড়া: ২০ বছর আগে ফাঁসি হয়ে গিয়েছে তাঁর। আর এত বছর পর হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে পুনর্বিচারের দাবি। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে নির্দোষ দাবি করে সেই ঘটনার মামলা পুনরায় চালুর দাবিতে রীতিমত মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামলেন ছাতনার মানুষ। ধনঞ্জয়ের প্রকৃত বিচারের দাবিতে এই আন্দোলনে যোগ দিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও। প্রাথমিকভাবে এলাকায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ওই মঞ্চ রাষ্ট্রপতির কাছে মামলা পুনরায় চালুর আবেদন জানাবে।
সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল হয় রাজ্য। আর সেই পটভূমিকাতেই ফের একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে হেতাল পারেখের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ১৯৯০ সালের ৫ মার্চ কলকাতায় ঘটে যাওয়া হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সে সময় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। ঘটনায় গ্রেফতার হন অন্যতম অভিযুক্ত হেতাল পারেখের আবাসনে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে ছাতনার কুলুডিহি গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রায় ১৪ বছর কারাবাসের পর আদালতের নির্দেশে ২০০৪ সালের ১৪ অগস্ট তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করতে থাকেন, ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় নির্দোষ ছিলেন। তাঁর প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তিলোত্তমা কাণ্ডের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সেই দাবি এবার আন্দোলনের রূপ নিতে চলেছে। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ গড়ে ওই মামলা পুনরায় চালু করার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও। ইতিমধ্যেই ওই মামলা পুনরায় চালু করার দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে। গণস্বাক্ষরিত আবেদনপত্র পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে।
মঞ্চের বক্তব্য, এই মামলা পুনরায় চালু হলেও ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে আর ফেরানো সম্ভব নয়। কিন্তু মামলায় তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে ছাতনার মাটি যে ধর্ষকের মাটি নয়, তা যেমন প্রমাণিত হবে। তেমনই ত্রুটিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠবে একটি মাইলফলক। আপাতত সেই লক্ষ্যেই এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মঞ্চের আন্দোলনকারীরা।