Bankura: ১০ বছরেই সেতু ভেঙেচুরে একশা, হচ্ছে না সংস্কারও
Bankura: বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদ। এই নদের খাত সারা বছর শুকনো থাকে। তবে বর্ষা এলেই বইতে থাকে দু'কূল ছাপিয়ে। নদের একপাড়ে থাকা সুরপানগর, সোনাতাপল, বালিয়াড়া সহ আট দশটি গ্রামের মানুষ স্কুল- কলেজ, হাসপাতাল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন বাজার হাট সমস্ত বিষয়েই নির্ভরশীল বাঁকুড়া শহরের উপর।
বাঁকুড়া: কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মীত সেতু দশ বছরেই ভেঙে চুরে একশা। লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে বেশ কয়েকবার সেতুটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে সেই সংস্কারের কাজও বন্ধ। যার জেরে সেতু দিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। বন্ধ হয়েছে হাঁটাহাঁটি। নিরুপায় সাধারণ মানুষ।
বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদ। এই নদের খাত সারা বছর শুকনো থাকে। তবে বর্ষা এলেই বইতে থাকে দু’কূল ছাপিয়ে। নদের একপাড়ে থাকা সুরপানগর, সোনাতাপল, বালিয়াড়া সহ আট দশটি গ্রামের মানুষ স্কুল- কলেজ, হাসপাতাল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন বাজার হাট সমস্ত বিষয়েই নির্ভরশীল বাঁকুড়া শহরের উপর। শুধু তাই নয়, বাঁকুড়া শহরের সবজি বাজারের আমদানিও পুরোপুরি নির্ভরশীল ওই গ্রামগুলির উপর।
দু’পাড়ের মানুষের এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কথা চিন্তা করে ২০১৪ সালে বাঁকুড়ার ভাদুল সুরপানগরের মাঝে একটি কংক্রিটের সেতু তৈরি করে রাজ্য সরকার। সেতু তৈরির পরের বছরই ভেঙে পড়ে সেটি। এরপর প্রায় প্রতিবছরই বন্যাতে ভেঙে যেতে থাকে। প্রথম কয়েক বছর যদিও সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটি।তবে ২০১৮ সালে শেষ বার বন্যায় সেতু ভেঙেচুরে গেলেও আর সংস্কারে করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা ও ২০২১ এ ওন্দা বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হন। অভিযোগ, সেই কারণেই ভেঙে যাওয়া ওই সেতু আর সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি রাজ্য সরকার। তবে প্রশ্ন উঠছে, এমন কী হল, ২০১৪ সালে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি এই সেতু বারংবার সংস্কার সত্বেও এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ?
এলাকাবাসী বলছেন, ওই সেতু তৈরির ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এলাকার মানুষ সেই সেতু দিয়ে চলাচল করতে না পারলেও রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। সেতুর এই হালের জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, “সিমেন্ট দিয়ে তৈরি হয়নি। খারাপ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করছে। আমি বিধানসভায় অনেকবার বলেছি। কিন্তু কিছুই হয়নি।” পাল্টা এলাকার বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদদের অকর্মন্যতাকেই দায়ী করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “ওইখানকার সাংসদ-বিধায়ক বিজেপির। আমাদের সময় সংস্কার হয়েছিল। ওদের বেলায় সেসব হয়নি। আমরা দেখছি দ্রুত সংস্কার করা যায় যাতে।”