বাঁকুড়া: এবার এক অভিনব প্রতিবাদ। রাজ্যে শিল্পের পরিস্থিতি নিয়ে শাসক দলকে বিঁধতে রাস্তার ধারের দোকানে বসে নিজে হাতে চপ ও বেগুনি ভাজলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। নতুন ভাবে শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই হলদিয়ায় শিল্প-কারখানা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার কারণে গ্রেফতার করা হয় দুই আইএনটিটিইউসির নেতাকেও। এদিকে আবার রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে শিল্প সম্মেলনের তোড়জোড়। আর এসবের মধ্যেই শনিবার অভিনব প্রতিবাদ করলেন বিজেপি এই বিধায়ক। রাস্তার মধ্যেই একটি দোকানে বসে চপ বেগুনি ভেজে রাজ্যের ‘শিল্প ইমেজকে’ কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা।
আজ নিজের পাড়ার একটি দোকানে বসে তিনি চপ ও বেগুনি ভাজেন। পরে রাজ্যের শিল্পপরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। বলেন, “আমি কাজ পাগল ছেলে। অসুস্থতার জন্য ঘরে বসে রয়েছি তাই আজ বাড়ির পাশের দোকানে গেলাম আর চপ ভাজলাম। আসলে সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন চপ, তেলেভাজাপ ছোট-ছোট শিল্প গড়ুন। তাঁর কথা মাথায় ঢুকিয়ে নিয়েছি আমি। তাই চপ শিল্পের কথা স্মরণ হতেই আমি চপ ভাজতে বসে গিয়েছি। আমায় বারবার মনে করিয়ে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর সেই চপ শিল্পের কথা ও তার অনুপ্রেরণা। সেই মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েই আমি লোভ সামলাতে না পেরে আজ চপ ভাজলাম। ”
বিধায়ক কটাক্ষ করেননি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে বাস্তব হিসাবে ধরে নিয়েই এই কাজ করেছেন দাবি তৃণমূলের। তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী বলেন, ” বাঁকুড়ার মানুষ চপ তেলেভাজা ভালোবাসেন। একজন বিধায়ক হিসেবে উনি দেখেছেন যে চপের প্রয়োজন আছে। প্রচুর মানুষ চপের দোকান করে সংসার চালায়। শিল্পের মতো এই দোকান কাজ করে। এই বিধায়ক বিজেপির হতে পারেন, অন্য দলের হতে পারেন তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি কর্মসূচির সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণ হল।
সম্প্রতি দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি পছন্দ না হওয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ সাত সকালেই নিজের বাঁকুড়া শহরের কানকাটা এলালায় চপের দোকানে হাজির হয়ে চপ ও বেগুনি ভেজে ফের একবার খবরে এলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Bank Fraud: ফোনে নেমে গেল Anydesk! এক ক্লিকেই পরপর তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকা