Maoist activities: অনুন্নয়নকে হাতিয়ার করে আবারও কি জঙ্গলমহলে সক্রিয় মাওরা?
বাঁকুড়া: নয়-নয় করে কেটে গিয়েছে প্রায় বছর দশ। এখন আর জঙ্গলমহলের আকাশে বাতাসে বারুদেদর গন্ধ ততটা আসে না। ভারি বুটের আওয়াজও শোনা যায় না। বলা চলে এখন জঙ্গলমহল শান্তিতেই আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে বারবার বলে থাকেন জঙ্গলমহল হাসছে! সত্যিই কি জঙ্গলমহল হাসছে! জায়গাটির নাম বাগডুবি। ২০০৬ সালে এখানেই সিআরপিএফ-এর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির […]
বাঁকুড়া: নয়-নয় করে কেটে গিয়েছে প্রায় বছর দশ। এখন আর জঙ্গলমহলের আকাশে বাতাসে বারুদেদর গন্ধ ততটা আসে না। ভারি বুটের আওয়াজও শোনা যায় না। বলা চলে এখন জঙ্গলমহল শান্তিতেই আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে বারবার বলে থাকেন জঙ্গলমহল হাসছে! সত্যিই কি জঙ্গলমহল হাসছে!
জায়গাটির নাম বাগডুবি। ২০০৬ সালে এখানেই সিআরপিএফ-এর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই চলে। যার জেরে মারা যায় এক সিআরপিএফ কনস্টেবল। কিন্তু কেন মাওবাদীরা আন্দোলন করেছিল সেই সময়? কেন রক্তের বন্যা বয়েছিলো বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদনীপুরে? তা ছিল অনুন্নয়ন। বারবার এমনটাই দাবি জানাত মাওবাদীরা।
দশ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন তা আবার কী? জানেন না বাগডুবি, কাওডাঙ্গা,ভাদ্রুশোত, সহ একাধিক গ্রামের মানুষ। রাস্তা নেই, পানীয় জলের পাইপ গেলেও জল নেই, আর কর্মসংস্থান তো নেই।
আবার নতুন মানুষদের আনাগোনা বাড়ছে জঙ্গলমহল জুড়ে। স্থানীয়দের দাবি পুরানো চাল ভাতে বাড়ে। মুখ্যমন্ত্রী সব মাওবাদীদের চাকরি দেয়নি। মাওরা বীজ পুঁতে গিয়েছিলো তার গাছ হচ্ছে। আকার ইঙ্গিতে সব বুঝিয়ে দিচ্ছে এলাকার মানুষ। ভয়ে সে ভাবে মুখ খুলছেনা কেও। কিছুটা ইতস্তত বোধ করে বললেন, আমাদের এখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। কিছ-কিছু জায়গায় পিচের রাস্তা হলেও আমাদের গ্রামের দিকে কিছুই হয়নি।”
তা হলে কি আবার বারুদের গন্ধে ভরে যাবে জঙ্গলের আকাশ বাতাস, আবার কি রক্তের বন্য বইবে? ভারী বুটের আওয়াজ কি আবার শুনতে হবে জঙ্গলমহলকে। গোয়েন্দা রিপোর্ট কী বলছে? একটা ভয়ংকর রকমের ঘটনার কি সাক্ষী থাকবে এবার ঝাড়খণ্ড সীমানার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম? তা সময় বলবে।
আরও পড়ুন: KMC Election Result 2021: ‘ছাপ্পার জয় হবে’ ধরে নিয়েই সদর দফতরে এলেন না বঙ্গ বিজেপি নেতারা!