Bankura Hospital: বউকে দেখতে দিচ্ছে না ওরা, সটান হাসপাতালের কার্নিশে উঠে পড়লেন যুবক, ছুটে এল দমকল
Bankura Hospital: এ যেন মল্লিকবাজারের ছায়া। হাসপাতালের দোতলার কার্নিশে বিপজ্জনকভাবে বসে রয়েছেন এক ব্যাক্তি। সাতসকালে ব্যাপক শোলগোল বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে।
বাঁকুড়া: সেই দিনটাও ছিল শনিবার। মাসটা ছিল জুন। ওই দিনও আচমকা ভরদুুপুরে এক শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটে খাস কলকাতায় (Kolkata)। মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের (Hospital) কার্নিশ থেকে ঝুলতে দেখা যায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক রোগীকে। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দমকল থেকে পুলিশ (Police), কেউই তাঁকে নামাতে পারেনি। অবশেষে সেখান থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছিল ওই ব্যক্তির। টিভিতে লাইভ দেখা গিয়েছিল সেই ঘটনা। এবার আরও এক শনিবারে কার্যত একই ছবি দেখা গেল বাঁকুড়ায়। হাসপাতালের দোতলার কার্নিসে বিপজ্জনক ভাবে শুয়ে এক ব্যাক্তি। যদিও শেষ পর্যন্ত দমকলের চেষ্টায় তাঁকে নীচে নামানো সম্ভব হয়।
এদিন সকালে বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের দোতলায় জানালার উপরে থোট্ট কার্নিশে বিপজ্জনকভাবে শুয়ে থাকতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। বিষয়টি নজর এড়ায়নি রোগীদের পরিজনদের। আর তাতেই হইচই পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। প্রচুর ডাকাডাকি করেও নামানো যায়নি ওই ব্যক্তিকে। রোগীর পরিজনরা তাঁকে নেমে আসার জন্য অনুরোধ উপরোধ করলে উল্টে কার্নিশ থেকে তাঁদেরই শাসাতে শুরু করেন ওই ব্যাক্তি। যে কোনও সময় ওই যুবক পড়ে গেলে বিপদ হতে পারে বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন রোগীর পরিজনরা। যুবকের নাম খোকন সর্দার। বাড়ি বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের রাধানাথপুর গ্রামে। খবর যায় দমকলে।
মই নিয়ে ছুটে আসেন দমকল কর্মীরা। অনেক চেষ্টার পর তাঁকে নামানো সম্ভব হয়। তারপরেই জানতে পারা যায় ওই যুবকের স্ত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। এদিন তিনি তাঁর স্ত্রীকে দেখতে আসেন। কিন্তু, হাসপাতালের বেঁধে দেওয়া সময়ে না আসায় তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর সে কারণেই তিনি চড়ে বসেন হাসপাতালের উঁচু জানলার কার্নিশে। নীচে নেমে আসার পর দমকল কর্মীদের এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যদিও দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান মানসিকভাবে থানিকটা ভারসাম্যহীন অবস্থায় রয়েছেন ওই যুবক। তাঁর কথার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। ঠিকানা জেনে বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়েছে।