Bankura Road: পুরসভা এলাকার রাস্তার অবস্থা দেখুন…
Bankura Road: সূত্রের খবর, বাঁকুড়া পুরসভার একেবারে নাকের ডগায় রাস্তার অবস্থা বেশ বেহাল। রাস্তা থেকে শুধু পিচ উঠে গিয়েছে। তাই নয় রাস্তার বেসমেন্টের পাথর বালি উঠে গিয়ে রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে বিশাল-বিশাল গর্ত। সব জেনেশুনেও নির্বিকার বাঁকুড়া পুরসভা বলে অভিযোগ।
বাঁকুড়া: কাঁচা হোক বা পাকা। রাস্তার চেহারার কোনও বদল নেই। একদিকে খানা-খন্দ ভরা। অন্যদিকে জমে রয়েছে জল। এলাকার মানুষ বারংবার অভিযোগ করে বলেছেন, “খুব সমস্যা হচ্ছে। চার চাকা-দু’চাকা কিছুই নিয়ে বের হতে পারছি না। ঘরে জল ঢুকে যাচ্ছে। স্কুলে নিয়ে যেতে পারছি না ছেলে মেয়েকে।” আর এই পরিস্থিতির জন্য তাঁরা কাঠগড়ায় তুলেছে পুরসভাকে।
সূত্রের খবর, বাঁকুড়া পুরসভার একেবারে নাকের ডগায় রাস্তার অবস্থা বেশ বেহাল। রাস্তা থেকে শুধু পিচ উঠে গিয়েছে। তাই নয় রাস্তার বেসমেন্টের পাথর বালি উঠে গিয়ে রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে বিশাল-বিশাল গর্ত। সব জেনেশুনেও নির্বিকার বাঁকুড়া পুরসভা বলে অভিযোগ।
বাঁকুড়া শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তারাগতি সামন্ত রোড। এই রাস্তার অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে সেটিকে রাস্তা না বলে পুকুর ডোবা বললেও কম বলা হয়। অথচ এই রাস্তা দিয়েই কাটজুড়িডাঙ্গা এলাকা থেকে ভৈরবস্থানগামী অসংখ্য যানবাহন যাতায়াত করে। শহরের অভিজাত এলাকা কেন্দুয়াডিহি এই রাস্তার উপরেই। শহরের অধিকাংশ চিকিৎসক কেন্দুয়াডিহি এলাকায় বসবাস করায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার রোগী যাতায়াত করে এই রাস্তায়।
তাছাড়া এই রাস্তার উপরে একাধিক স্কুল থাকায় পড়ুয়ারাও যাতায়াত করে। আর এই বেহাল সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়েই প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। বারেবারে বাঁকুড়া পুরসভায় জানিয়েও লাভ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। পুরসভার দাবি বর্ষার কারণে ওই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বর্ষা পেরোলেই ওই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে। আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমাদের কাউন্সিলর হেমন্তদা কথা দিয়েছেন সবটা ঠিক করে দেওয়া হবে বলে। দেখি কতটা কী হয়।”