Sayantika Banerjee: ‘দাদার অনুগামীরা আমাকে সমঝে চলে’, সায়ন্তিকার একের পর এক আগুন ঝরানো ‘ডায়লগ’
West bengal: গতকাল বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর গ্রামে অঞ্চলে তৃণমূলের ঘোষিত অঞ্চলে একদিন কর্মসূচিতে যোগ দেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বাঁকুড়া: “বাঁকুড়ার দিকে চোখ তুলে তাকানোর আগে কমসেকম পাঁচ বার চিন্তা করবে। কারণ এখানে এখন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) আছে।” ঠিক এই বলে দলের ক্ষুব্ধ নেতা কর্মী ও বিজেপি নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, বিজেপির কটাক্ষ ওসব ফিল্মি ডায়লগে কোনও কাজ হবে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার মানুষ এই ডায়লগের সমুচিত জবাব দেবে।
গতকাল বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর গ্রামে অঞ্চলে তৃণমূলের ঘোষিত অঞ্চলে একদিন কর্মসূচিতে যোগ দেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে অভিনেত্রী তাঁর বক্তব্যে বিরোধী ও দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের একহাত নেন। প্রথমে তিনি নাম না করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন। বলেন, “বেইমানটা যখন বেইমানি করছে তখন অনেক অনুগামী দেখেছিলাম। সেই দাদার অনুগামীরা এখন আমাকে সমঝে চলে। কারন সেই দাদার অনুগামীরাও জেনে গিয়েছে তৃণমূল এখন দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষা বন্ধ করে দিয়েছে । আমরা এখন কালসাপ দেখব, বিষদাঁতটা উপড়ে ফেলে ঝুড়িতে ঢুকিয়ে বাংলা থেকে বিদায় করে গুজরাটে নিয়ে গিয়ে ফেলব।”
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য সামনে আসার পরই রাজনৈতিক মহলের ধারনা এই বক্তব্যের মাধ্যমে আসলে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অন্দরে থাকা বেগড়বাই করা নেতাদের যেমন কড়া বার্তা দিলেন তেমনই বিজেপি নেতাদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। সায়ন্তিকা বলেন, “দলের অন্দরে দাদার অনুগামীরা ছিল।অনেকেই পাঁচিলের উপর উঠেছিল । তাঁরা যেন পাঁচিলের উপরেই থাকেন।দলের মধ্যে এখনও সেই দাদার অনুগামীরা রয়েছে।তাঁদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভাল।নাহলে তাঁদের টেনে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।”
বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর হুঁশিয়ারি, “সিপিএম-এর কায়দায় বিজেপি চলছে।” সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে সায়ন্তিকা বলেন, “তাঁর পাপের মাশুল আমাদের বইতে হচ্ছে।” সায়ন্তিকার এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য ফিল্মি কায়দায় সায়ন্তিকা ডায়লগ দিচ্ছেন । ওই ডায়লগে কাজ হবে না।” সায়ন্তিকার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপির দাবি এর জবাব বাঁকুড়ার মানুষ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেবে ।