Bankura: প্রবল ঝড়ে গাছ উপড়ে রুদ্ধ রাস্তা, নিজে হাতে গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিস্কার করলেন রাজ্যের মন্ত্রী
Bankura: বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ আচমকাই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঝড়। ঝড়ের দাপপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা।
বাঁকুড়া: বিগত সপ্তাহ থেকেই একই ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বাংলায়। সন্ধ্যায় নামলেই ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। বৃহস্পতিবারের জন্যও ছিল পূর্বাভাস। পূর্বাভাস সত্যি করে জেলায় জেলায় সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে যায় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi) ঝড়ে গাছ উপড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সড়ক। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যান চলাচল। গাছ সরাতে উদ্যোগী হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে সেই কাজে হাত লাগাতে দেখা গেল খোদ মন্ত্রীকে (Minister)। এদিন এই ছবি দেখা গেল বাঁকুড়ার খাতড়ার এসডিও মোড়ে।
বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ আচমকাই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঝড়। ঝড়ের দাপপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রবল ঝড়ে খাতড়ার এসডিও মোড়ে বেশ কয়েকটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে খাতড়া-রানীবাঁধ সড়কে। বেশ কয়েকটি গাছ উপড়েও পড়ে যায় রাস্তার উপর। ঝড় থামার পর রাস্তার উপর গাছ সরাতে উদ্যোগী হয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজ্যের খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডিও। নিজেই গাছ সরানোর কাজে হাত লাগান। শেষে ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাস্তা থেকে সমস্ত গাছ ও গাছের ডাল সরিয়ে ফেলে। তারপরই ফের ওই রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয়। এদিকে দুর্যোগের সন্ধ্যায় খোদ মন্ত্রীর এই মানবিক রূপে আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলেই মন্ত্রীর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তবে শুধু বাঁকুড়া নয়। এদিন দুর্গাপুরে প্রবল ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়ে একাধিক গাছ। যান চলাচল ব্যাহত হয় বহু জায়গায়। একটানা বৃষ্টির কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে। অন্যদিকে ঝড় চলাকালীন পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থানার বহুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাশকোলে টোটো উল্টে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।