Bankura: বৃষ্টি নেই, জল কমেছে, তাও পিছু ছাড়ছে না বিপদ, ধসে গেল আস্ত সেতু, একলা হয়ে গেল ৪০-৫০টি গ্রাম
Bankura: শুক্রবার সেতুর ওই অংশ ভেঙে পড়তেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সোনামুখী ব্লকের ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ থেকে ৫০ টি গ্রাম। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুসেছে বিজেপি।
সোনামুখী: শালী নদীতে জলস্তর নামলেও নতুন বিপদ। সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে পড়তেই বন্ধ হল যাতায়াত। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ থেকে ৫০টি গ্রাম। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতেই অন্যান্য নদীর মতোই বাঁকুড়ার শালী নদীতে নেমেছে জলস্তর। কেটেছে বন্যার আশঙ্কা। কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়ছে না সোনামুখী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। নদীর জল নামতেই এবার ধসে পড়ল আস্ত সেতুর একাংশ। ঘটনা বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের রামপুর থেকে পিয়ারবেড়া যাওয়ার রাস্তার উপর থাকা শালী নদীর সেতুর।
শুক্রবার সেতুর ওই অংশ ভেঙে পড়তেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সোনামুখী ব্লকের ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪০ থেকে ৫০ টি গ্রাম। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও। পড়াশোনা থেকে স্বাস্থ্য, গৃহস্থের নিত্যদিনের বাজার থেকে শুরু করে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা সমস্ত ব্যাপারেই সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া, হামিরহাটি ও ধুলাই এই ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ সোনামুখী শহরের উপর নির্ভরশীল। সোনামুখী শহরের যাতায়াতের পথেই পড়ে শালী নদীর সেতু। পাকা কংক্রিটের সেই সেতু দিয়েই এতদিন স্বচ্ছন্দে চলছিল যাতায়াত। ঘূর্ণাবর্তের প্রবল বৃষ্টিতেও বন্ধ হয়নি যোগাযোগ। তবে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতে না কাটতেই সেতুর হাল বেহাল হতে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার সেতুর মাঝামাঝি অংশে একাধিক পিলার বসে যাওয়ায় সেতুর একাংশ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থাকা ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় এবং প্রয়োজনীয় মেরামতি না করার ফলেই সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি ওই সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে নির্বিচারে অবৈধ ভাবে বালি তোলার ফলেই সেতুর ভিত নড়বড়ে হয়ে ধসে পড়ে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ইঞ্জিনিয়ারেরও দাবি, সেতুর ভিতের অংশ দিয়ে জল বয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। তাঁর দাবি, সেতুর বেহাল দশার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। সেতুটি ধসে পড়ার জন্য শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, শাসকদলের মদতেই সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে দিনের পর বালি চুরি হওয়ার ফলেই ভিত নড়বড়ে হয়ে সেতুটি ধসে পড়েছে। যদিও বালি চুরির অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে শাসকদল। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সেতুটি ধসে পড়ার পিছনে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)