Bankura: ঘরের মেঝেতে পড়ে মা-বাবা, শিশুর কান্নার শব্দে স্থানীয়রা ঘরে ঢুকে দেখেন…
Deadbody: অন্যান্য দিনের মতোই গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সকলে খাবার খান।
বাঁকুড়া: খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হল এক দম্পতির। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার ধানসাতরা গ্রামে। মৃতদের নাম অশোক বোস ও কেয়া বোস। ঘটনায় ওই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সকলে খাবার খান। ভোর চারটে নাগাদ ওই বাড়ি থেকে এক শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা সেখানে যান। দরজা খুলে ঢুকে দেখেন বাড়ির মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে সহ ওই দম্পতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। গোটা ঘর জুড়ে বমি ও পায়খানা পড়ে রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই শুক্রবার রাতে প্রথমে অশোক বোস ও পরে তাঁর স্ত্রী কেয়া বোসের মৃত্যু হয়। বর্তমানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে দম্পতির ছেলে জিতেন বোসের চিকিৎসা চলছে। মেয়ে চম্পা সরকারকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওই দম্পতির পিছনে খাদ্যে বিষক্রিয়া দায়ী নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখতে মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দপুর থানার পুলিশ। দম্পতির এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত আজই খাবারের বিষক্রিয়ার আরও এক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। কর্নাটকে বিয়ের অনু্ষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিল প্রায় গোটা গ্রাম। কবজি ডুবিয়ে খেয়েছিলেনও সকলে। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই শুরু হল অসহ্য পেটে ব্যাথ্যা। একে একে প্রত্যেক অতিথিরই শুরু হল ডায়েরিয়া। খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে বর্তমানে কর্নাটক-র শিবমোগার আলাদা হাল্লি গ্রামের কমপক্ষে ৫০ জন বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তি। সকলেরই ডায়েরিয়ার উপসর্গ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার শিবমোগা জেলার আলাদা হাল্লি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। প্রায় কয়েকশো মানুষ ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠানবাড়িতে খাবার খাওয়ার পরই বেশ কয়েকজন অসুস্থ বোধ করেন। শুক্রবার সকাল থেকেই গ্রামের বাকিরাও একে একে অসুস্থ হতে পারেন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মিলিয়েই গ্রামের প্রায় ১০০ জন জেলা হাসপাতালে বমি, পেটে ব্যাথ্যা ও ডায়েরিয়া নিয়ে উপস্থিত হন। অধিকাংশ রোগীদেরই আশেপাশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।