বাঁকুড়া: এক কিশোরীর রহস্যমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বাম ছাত্র যুবদের। রবিবার এই কর্মসূচি ঘিরে তুলকালাম বাধে বাঁকুড়ার রাইপুরে (Bankura Raipur)। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবলীনা হেমব্রম। তাঁর কথায়, “তদন্তে যাতে ঢিলেমি না হয় তার জন্য আমরা পথে নেমেছি। দ্রুততার সঙ্গে সঠিক তদন্ত করা হোক এটাই আমাদের দাবি। সেটা না হলে আমাদের কোনওভাবেই আটকানো যাবে না। আমরা আবার থানায় আসব।”
ঘটনাটি ঘটে গত ১০ এপ্রিল। রাইপুর থানা এলাকার এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। আগের দিন রাত থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরদিন বাড়ির আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি গাছ থেকে মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার পরিবারের সন্দেহ ছিল, শারীরিক নির্যাতনের পর মেরে ফেলা হয়েছে। যদিও পুলিশ তদন্তে নেমে কিশোরীর শরীরে কোনও ক্ষতচিহ্ন পায়নি বলেই জানা যায়। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই এই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এ রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের কোনও ক্ষমতা নেই। সরকারের মদতে অপরাধীরা নিশ্চিন্তে থাকে। যাকে ধরা হল পুলিশ তাকে হেফাজতে পর্যন্ত চাইল না। জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। ক’দিন পর জামিনও পেয়ে যাবে।” তবে সিপিএম এই পরিবারের পাশে থেকে লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
রবিবার সেই দাবিতেই পথে নামে বাম ছাত্র যুব, মহিলারা। এতদিন ধরে কেন পুলিশ এই ঘটনায় কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মিছিল এগোয় রাইপুর থানার দিকে। কিশোরীর মাকে সঙ্গে নিয়ে পথে নামেন দেবলীনা হেমব্রমরা। রাইপুরে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল এগিয়ে থানার দিকে যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এই ঝামেলা ঘিরে। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই তদন্ত প্রক্রিয়া গতি না পেলে সিপিএম ফের ময়দানে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।
বাঁকুড়া: এক কিশোরীর রহস্যমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বাম ছাত্র যুবদের। রবিবার এই কর্মসূচি ঘিরে তুলকালাম বাধে বাঁকুড়ার রাইপুরে (Bankura Raipur)। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তির অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবলীনা হেমব্রম। তাঁর কথায়, “তদন্তে যাতে ঢিলেমি না হয় তার জন্য আমরা পথে নেমেছি। দ্রুততার সঙ্গে সঠিক তদন্ত করা হোক এটাই আমাদের দাবি। সেটা না হলে আমাদের কোনওভাবেই আটকানো যাবে না। আমরা আবার থানায় আসব।”
ঘটনাটি ঘটে গত ১০ এপ্রিল। রাইপুর থানা এলাকার এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। আগের দিন রাত থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরদিন বাড়ির আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি গাছ থেকে মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার পরিবারের সন্দেহ ছিল, শারীরিক নির্যাতনের পর মেরে ফেলা হয়েছে। যদিও পুলিশ তদন্তে নেমে কিশোরীর শরীরে কোনও ক্ষতচিহ্ন পায়নি বলেই জানা যায়। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই এই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এ রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের কোনও ক্ষমতা নেই। সরকারের মদতে অপরাধীরা নিশ্চিন্তে থাকে। যাকে ধরা হল পুলিশ তাকে হেফাজতে পর্যন্ত চাইল না। জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। ক’দিন পর জামিনও পেয়ে যাবে।” তবে সিপিএম এই পরিবারের পাশে থেকে লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
রবিবার সেই দাবিতেই পথে নামে বাম ছাত্র যুব, মহিলারা। এতদিন ধরে কেন পুলিশ এই ঘটনায় কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মিছিল এগোয় রাইপুর থানার দিকে। কিশোরীর মাকে সঙ্গে নিয়ে পথে নামেন দেবলীনা হেমব্রমরা। রাইপুরে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল এগিয়ে থানার দিকে যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এই ঝামেলা ঘিরে। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই তদন্ত প্রক্রিয়া গতি না পেলে সিপিএম ফের ময়দানে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।