বাঁকুড়া: রাইপুর থানা এলাকায় এক কিশোরীর রহস্যমৃত্যু ঘটে গত ১০ এপ্রিল। আগের দিন রাতে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরী। পরদিন বাড়ির আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিশোরীর পরিবারের সন্দেহ ছিল, মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন করে মারা হয়েছে। যদিও পুলিশ তদন্তে নেমে কিশোরীর শরীরে কোনও ক্ষতচিহ্ন পায়নি। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করে। সেই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সোমবার দেখা করলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র। তাঁর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দল ছিল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বাঁকুড়ার রাইপুর থানা এলাকার ওই কিশোরী এ বছর মাধ্যমিক দিয়েছে। গত ৯ এপ্রিল রাতে পাশেই মাসির বাড়িতে ঘুমোতে যায় সে। কিন্তু পরে জানা যায় তার কোনও খোঁজ নেই। পরেরদিনই গ্রাম থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি গ্রাম থেকে গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পরিবারের সন্দেহ ছিল, কিশোরীকে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। পুলিশেও জানানো হয় গোটা বিষয়। তবে তদন্ত শুরু করলেও ওই কিশোরীর শরীরে কোনও নির্যাতনের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। কিন্তু পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন গ্রেফতার হয়।
এদিন অমিয় পাত্র বলেন, “যতদিন এই সরকার আছে, এই অপরাধীরাই রাজত্ব করবে। এই অপরাধ দমনের কোনও চেষ্টা প্রশাসনের নেই। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও পুলিশ যদি যথাযথ তদন্ত করতে চায়, তা হলে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারত। আমার তো অস্বাভাবিক লাগছে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কোনও আর্জিও জানাল না। অভিযুক্ত বহাল তবিয়তে জেল হেফাজতে চলে গেল। সাতদিন পর শুনব জামিন পেয়ে ঘরেও চলে এসেছে। এ রাজ্যে তো বিচার প্রত্যাশা করাই মুশকিল।”
আরও পড়ুন: Falakata storm update: কয়েক মিনিটের ঝড়, প্রবল শিলাবৃষ্টি, এক লাফে দাম বাড়ল টিনের