West Bengal Weather Update: অবশেষে স্বস্তি; কলকাতায় প্রথম কালবৈশাখী, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি… দিনক্ষণ জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
Weather Update: বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার অর্থাৎ এই সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপের দাপট বিকেলের পর থেকে কমতে পারে।
কলকাতা: নিদারুণ দাবদাহে ক্লান্ত দক্ষিণবঙ্গ। দিনভর প্যাচপ্যাচে গরম, রাতেও একই অবস্থা। গত কয়েকদিনে বারবার আবহাওয়া দফতর শুনিয়েছে, ‘বৃষ্টির আশা নেই’। বরং গরম বাড়ার পূর্বাভাসই দেওয়া হয়েছে। তবে অবশেষে সুখবর শোনাল হাওয়া অফিসের রিপোর্ট। সোমবার দুপুরেই জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে কলকাতা-সহ লাগোয়া জেলাগুলিতে। ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে ২১ এপ্রিল থেকেই। একইসঙ্গে পূর্বাভাস, ২২ এপ্রিল কলকাতাতে ভালই বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এমনও হতে পারে, এই পূর্বাভাসের হাত ধরেই এ মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী অনুভব করতে পারেন বঙ্গবাসী। ঝাড়খণ্ডে জোরাল হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। জলীয় বাষ্প পৌঁছে যাবে মালভূমিতে। এর জেরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার অর্থাৎ এই সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপের দাপট বিকেলের পর থেকে কমতে পারে। বদলে ঝেঁপে নামতে পারে বৃষ্টি। সঙ্গে বৈশাখী ঝোড়ো হাওয়া। যার জন্য গত দেড় মাস ধরে হাপিত্যেস করে বসে আছে বাংলার মানুষ। অন্যান্য বছর চৈত্র মাসে অন্তত এক আধদিনও ঝড়, বৃষ্টি, নিদেন পক্ষে মেঘলা আকাশের দেখা মেলে। কিন্তু এই মরসুমে শুধুই চৈত্রের দহন টের পেয়েছে রাজ্যবাসী।
গত দু’ এক বছর হল আবহাওয়ায় বেশ বদল দেখা গিয়েছে। আগে মার্চ-এপ্রিল মাসে দুপুর গড়ালেও আকাশ ঢেকে যেত কালো মেঘে। ঝড়-বৃষ্টি লেগেই থাকত নিয়মিত। এই চেনা ছবি আচমকাই বদলে গেল। কিন্তু কেন? জলবায়ু বিজ্ঞানী পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “মার্চ থেকেই কালবৈশাখী আশা করা যায়। মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিন মাসকে আমরা বলি প্রাক বর্ষার মাস। এই সময় ছোট নাগপুর মালভূমি থেকে কালবৈশাখী তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তা ধেয়ে আসে বাংলায়। কলকাতাতেও সন্ধ্যা ৬টা ৭টা নাগাদ ঝড় বৃষ্টির একটা ছবি দেখা যায়।”
তবে গোটা মার্চ কিংবা এপ্রিলের মাঝ মাস পার করেও ঝড় বৃষ্টি না হওয়ার নজিরও রয়েছে বলেই মত পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এভাবে বলা যায় না। পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “বঙ্গোপসাগরের উপর ওই ঘূর্ণাবর্ত, সাইক্লোনিক সার্কুলেশন সময় মতো তৈরি না হলে তা হলে এই জলীয় বাষ্প ঠিকমতো তৈরি না হওয়া বা ঝড় বৃষ্টি সময় মতো না হওয়ার একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ বছর সেটা দেখা যাচ্ছে। তবে এই অবস্থা বদলাচ্ছে। সপ্তাহের শেষের দিকে ঝড় বৃষ্টি তৈরির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: Sankar Ghosh: রাজ্যে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই এবার বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ লেফট শঙ্কর ঘোষের!