West Bengal School: চাকরি বাতিলের আবহের মধ্যেই স্কুলগুলিতে গেল আর এক নির্দেশিকা, তথ্য সংগ্রহে কাজে বসে পড়লেন প্রধান শিক্ষকরা
CID: মালদহ টাউন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, "যাঁরা এসসি-এসটি স্কলারশিপ পেয়েছিল তারা কত টাকা পেয়েছে, কতজন এখনও স্কুলে আছে, কতজন বেরিয়ে গিয়েছে, এই সব তথ্য চেয়েছে সিআইডি আমার কাছে।

মালদহ: সুপ্রিম রায়ে একদিকে যখন চাকরি বাতিল নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে এবার স্কুলে-স্কুলে গেল সিআইডি (CID)-র নির্দেশিকা। এবার স্কুলগুলির কাছে বিশেষ কিছু তথ্য চাইল সিআইডি। কীসের তথ্য চাইল গোয়েন্দা সংস্থা?
মূলত, এসটি (ST) এসসি (SC) ওবিসি (OBC) ছাত্র-ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ বাবদ টাকা পেয়ে থাকেন। সিআইডি-র তরফে সেই নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই সব ছাত্র ছাত্রী এখন কোন ক্লাসে পড়ছে, কিংবা পাস আউট কি না। যদি পাস করে বেরিয়ে গিয়ে থাকে তবে কোন সালে পাস করেছে জানতে চাওয়া হয়েছে। স্কলারশিপের টাকা তারা কতবার তুলেছেন সবটাই স্কুলের থেকে তথ্য চেয়েছে সিআইডি। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে। আর এই নিয়ে স্কুলগুলিতে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন হঠাৎ এই নিয়ে নির্দেশিকা দিল গোয়েন্দা সংস্থা? সম্প্রতি মালদহ ও দুই দিনাজপুরে জাল ডকুমেন্টস দিয়ে এসটি, এসসি ওবিসি সার্টিফিকেট তুলে জালিয়াতির বড় চক্রের হদিস মিলেছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান সেই কারণেই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
মালদহ টাউন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, “যাঁরা এসসি-এসটি স্কলারশিপ পেয়েছিল তারা কত টাকা পেয়েছে, কতজন এখনও স্কুলে আছে, কতজন বেরিয়ে গিয়েছে, এই সব তথ্য চেয়েছে সিআইডি আমার কাছে। আসলে যারা এই টাকা পাচ্ছে তারা আদৌ জেনুইন কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কতজন এই স্কলারশিপের টাকা তুলেছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে।” বার্লো গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “আমাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে কতজন টাকা তুলেছে, তারা বর্তমানে কী করছেন এইসব…।”





