দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বাম-কংগ্রেস সহ ট্রেড ইউনিয়নগুলি। ২৮ ও ২৯ মার্চ এই দু’দিন ব্যাপী সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। কেন্দ্রের কৃষক-শ্রমিক ও জনবিরোধী একাধিক নীতির বিরোধীতায় পথে ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। মোট বারো দফা দাবি জানিয়ে আজ ও আগামীকাল ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। এই বনধে সামিল হয়েছে অল ইন্ডিয়া এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও। রবিবার ব্যাঙ্ক বনধের পর সোম ও মঙ্গলবার ধর্মঘটের কারণে ব্যাঙ্কিং থেকে এটিএম পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই ধর্মঘটে সামিল রেল ও পরিবহণ কর্মীরা। ফলে প্রভাব পড়েতে পারে পরিবহণেও।
বনধের জেরে লাগাতার উত্তেজনা ডেবরাতে। পশ্চিম মেদিনীপুরের আষাড়িতে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, পুলিশকে মারতে উদ্যত হন ধর্মঘটীরা।
কোচবিহারে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রধান শাখা বন্ধ করে দিলো বনধ সমর্থকরা । সাগরদিঘি চত্বরে থাকা ওই ব্যাঙ্ক বন্ধ করা হল সাটার নামিয়ে।
বনধে বিচ্ছিন্ন অশান্তি বাংলায়। বনধের সমর্থনে সাঁতরাগাছিতে বাম সমর্থকদের পথ অবরোধ। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবল যানজট।
কেন্দ্রের কৃষক-শ্রমিক ও জনবিরোধী একাধিক নীতির বিরোধীতায় পথে ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। এদিকে, রাজ্যজুড়ে জেলায়-জেলায় মিশ্র অশান্তির খবর সামনে এসেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা বনধ সমর্থনকারীদের। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়ায় তারা।পুলিশ ধর্মঘটীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে ধর্মঘটীদের একাংশ রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
বিস্তারিত পড়ুন: All India Strike: কাঠফাটা রোদের মধ্যেই রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ বাম কর্মীর!
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের দক্ষিণ বারাসত ও হোগলা স্টেশনের মাঝখানে বানেশ্বরপুর এলাকায় আপ এবং ডাউন লাইনে রেল অবরোধে সামিল হলেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার দেশ জোড়া ধর্মঘটের সমর্থনে বাম কর্মী সমর্থকরা দলীয় পতাকা নিয়ে ডাউন ট্রেন আটকে দেয়। রেললাইনে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রেল অবরোধ করা হয়। এই অবরোধের দরুণ আটকে পড়েছে অন্যান্য অনেক ট্রেন।
বামেদের ডাকা ধর্মঘটের প্রথম দিন আজ। সোমবার সকাল থেকেই পথে নেমে পড়েছেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসত গ্রাম-পঞ্চায়েতের পদ্ধেরহাট এলাকায় জয়নগর-বারুইপুর সংযোগকারী কুলপি রোড অবরোধ করলেন বামকর্মী সমর্থকরা। রাস্তায় রীতিমতো বেঞ্চ পেতে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে অবরোধ করা হয়েছে। চলছে বন্ধের সমর্থনে স্লোগানও। এরফলে কুলপি রোড তথা ১ নম্বর রাজ্য সড়কে আটকে গাড়ি চলাচল বন্ধ।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ডাকে ৪৮ ঘণ্টার ভারত ধর্মঘটে চুঁচুড়া বাস টার্মিনাল থেকে কোনও বাস এখনও পর্যন্ত বের হয়নি। সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিং হয়। বাস-ট্রেকার রাস্তায় নামেনি। তবে একটি-দু’টি করে চলছে অটো-টোটো।
ধর্মঘটের সমর্থনে নিউটাউন গৌরাঙ্গনগর এলাকায় সিপিএম-এর মিছিল। পাশাপাশি ঢালাই ব্রিজ মোড়ে রাস্তা অবরোধ। সিপিএম নেতা পরিমল মিস্ত্রির নেতৃত্বে নিউটাউনের ওই এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরে যদিও নিউটাউন থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।