৭০-৮০ হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন: অনুব্রত
তৃণমূলের পর পর নেতার ইস্তফা, কিন্তু সেই ঝড়ের মধ্যেই চমকপ্রদ দাবি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের।
বীরভূম: শুভেন্দু আজ বিজেপিতে। একই দিনে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন দলের আরও ৯ বিধায়ক, এক সাংসদ ও এক প্রাক্তন সাংসদ। রাজনৈতিক মহল বলছে, নেতৃত্ব তো বটেই মারাত্মক চাপে তৃণমূলের সব স্তরেই নেতা কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনের আগে কি মনোবল ভাঙতে শুরু করেছে তাঁদের? রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। তৃণমূলের পর পর নেতার ইস্তফা, কিন্তু সেই ঝড়ের মধ্যেই চমকপ্রদ দাবি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। ৭০-৮০ হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আজ মেদিনীপুরের ‘শাহি মঞ্চ’এর দিকে নজর ছিল সকলের। এদিনের মঞ্চে বিপুল যোগদান পর্ব শেষ হওয়ার পর অমিত শাহ দাবি করেন, “নির্বাচন আসতে আসতে দলে একাই থেকে যাবেন মমতাদি।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বাংলার বুকে দাঁড়িয়েই বড় বার্তা দিয়ে গেলেন অমিত। তবে নেত্রীর অনুগত ‘ভাই’ কেষ্টর আত্মবিশ্বাসও কিন্তু নজর এড়ায়নি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
একদিকে যখন মেদিনীপুরে চলছে বিজেপির মহাসভা, তখন দলীয় কর্মীদের মন চাঙ্গা করতে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কীভাবে সাংগঠনিক ভিতকে আরও মজবুত করতে হবে, তার পাঠ পড়ান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘খবরদারি করব না, মাতব্বরিও করব না’, শাহি মঞ্চে আশ্বস্ত করলেন শুভেন্দু
পরে শুভেন্দু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও চরম আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ে তাঁর কথায়। বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর দল পরিবর্তনে বীরভূমে কোনও প্রভাব পড়বে না।” এরপরই তিনি দাবি করেন, “বীরভূম জেলায় গত চার মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন।” সঙ্গে চ্যালেঞ্জও ছোড়েন, “প্রয়োজনে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।” কেষ্টর এই কনফিডেন্স এখন আপাতত দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীর মধ্যেই খোঁজ করছেন তৃণমূলের উচ্চস্তরের নেতৃত্ব, দাবি রাজনৈতিক মহলের।