বীরভূম: তিনিই দলের দক্ষ সংগঠক, সেকথা বারবার উঠে এসেছে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেই। কিন্তু সেই কেষ্টর সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গেল দলীয় কর্মীদের একাংশকে। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) যখন স্বদর্পে মঞ্চে ভাষণ রাখছেন, ঠিক তখনই এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীরা হাত নাড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর সামনেই এমন ঘটনা আগে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বীরভূমের রামপুরহাটের বিষ্ণুপুরের জনসভায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে ভাষণ রাখছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রার্থী নিয়েই কথা বলার সময়ে তিনি বলেন, “এখানে অশোক চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হোন কিংবা অন্য কেউ, অসুবিধা কোথায় আছে?” যখন এই কথাগুলি কেষ্ট বলছিলেন, তখনই মঞ্চের বাঁ দিকে দাঁড়ানো কর্মী সমর্থকরা হাত উঁচিয়ে নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন।
জোর গলায় চেঁচিয়ে বলছিলেন তাঁরা, “বহিরাগত প্রার্থী চাই না আমরা। সুকুমারদাকেই প্রার্থী করতে হবে।” সেসময় মঞ্চ থেকে কার্যত ধমকের সুরে অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা বসুন…আপনারা বসুন।” এখানে বলে রাখা প্রয়োজন অশোক চট্টোপাধ্যায় হলেন সিউড়ির বর্তমান বিধায়ক।
আরও পড়ুন: ১০০ শতাংশ রাজ্যবাসীর টিকাকরণ চান মমতা, প্রয়োজনে টাকা দেবে নবান্ন
যদিও সাংবাদিকদের সামনে এই বিক্ষোভের কথা স্বীকারই করলেন না কেষ্ট। বললেন, “আমি এমন কিছু দেখিনি, শুনিনি।” অনুব্রত কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন, “নেতারা চলে গেলেও কর্মীরা ঠিক আছেন। কর্মীরাই নেতা তৈরি করেন। কর্মীরা ঠিক আছে।” কিন্তু প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ বাড়ছে, তা নিয়ে একটুও সচেতন অনুব্রত? প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কারণ অনুব্রতর খাসতালুকেই তাঁর সামনে এর আগে কর্মীদের বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না তাঁরা।