৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে বিয়ে করতে নারাজ প্রেমিক, বিচারক দিলেন নজিরবিহীন রায়!
মুসলিম আইন অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স থেকে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায়। সেই আইন অনুযায়ী, নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও সিউড়ি আদালতে এই বিয়ে দেওয়া হয়।
বীরভূম: প্রথমে বন্ধুত্ব, ফের প্রেম, সম্পর্ক গাঢ় হতেই সহবাস। পরে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার। শেষমেশ আদালতে বিচারকের সামনেই প্রেমিকাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন যুবক। নজিরবিহীন ঘটনার স্বাক্ষী থাকলেন বীরভূমের (Birbhum)সিউড়ির আলুন্দা গ্রামের বাসিন্দারা।
আলুন্দা গ্রামেরই মেয়ে পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি তখন নাবালিকা। প্রেমিকের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হয় সে। এরইমধ্যে মেয়েটি জানতে পারে, সে অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারকে সেকথা জানায়। এরপর মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে যুবকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব রাখা হয়।
কিন্তু বেঁকে বসে যুবকটি। বিয়ে করতে রাজি হয় না সে। এই করতে করতে কেটে যায় পাঁচ মাস। গত অক্টোবরের ৯ তারিখ মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভি যোগ দায়ের করা হয় যুবকের বিরুদ্ধে। সিউড়ি থানার পুলিস ওই যুবককে গ্রেফতার করে। আদালতে পেশ করা তাঁকে।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ২০২১ সালের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, কবে হবে জানাল রাজ্য সরকার
বিচারক ওই মেয়েটি ও তার গর্ভে থাকা সন্তানের কথা ভেবে যুবককে বিয়ে করার নির্দেশ দেন। ২ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পায় যুবক। বুধবার সিউড়ি আদালতে বিয়ে হয় তাদের। মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। সিউড়ি আদালতের আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মুসলিম আইন অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স থেকে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায়। সেই আইন অনুযায়ী, নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও সিউড়ি আদালতে এই বিয়ে দেওয়া হয়।