Kajal Seikh: কাজলের মাথায় রুপোর মুকুট, পরেই বললেন, ‘জেলার বেতাজ বাদশা হয়ে থাকতে চাই না…’
Birbhum: সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের আহ্বায়ক ও মেলা কমিটির তরফ থেকে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝির মাথায় রুপোর তৈরি মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়।

বীরভূম: ‘আমি জেলার বেতাজ বাদশা হয়ে থাকতে চাই না….।’ রুপোর মুকুট পরে প্রথম প্রতিক্রিয়া বীরভূমের তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখের। মঙ্গলবার বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের শান্তিনিকেতন থানার নানুর বিধানসভার কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের লায়েকবাজারে তৃণমূলের উদ্যোগে ইদ উপলক্ষে মিলন-মেলা আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের আহ্বায়ক ও মেলা কমিটির তরফ থেকে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝির মাথায় রুপোর তৈরি মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও উপস্থিত সমস্ত অতিথিদের উপহার হিসেবে রুপোর পেন দেওয়া হয়।
বস্তুত, বীরভূমে তৃণমূল নেতাদের রুপো ও ব্রোঞ্জের উপহার দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছে এই জেলায়। আগেও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে রুপোর তরবারি, গরু ও পাচন, ঢাক সহ নানান রুপোর তৈরি উপহার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখ-কেও রুপোর ত্রিশূল, সুদর্শন চক্র, রুদ্রাক্ষের মালা দেওয়া হয়। সেই মতো আবারো এদিন রুপোর তৈরি মুকুট উপহার হিসেবে দেওয়া হল।
এ দিন কাজল বলেন, “আমাকে রুপোর মুকুট দেওয়া হয়েছে। আমি জেলার বেতাজ বাদশা হয়ে থাকতে চাই না। আমি একজন সাধারণ কর্মী হয়ে থাকতে চাই।” প্রসঙ্গত, বীরভূমের বাঘ কিংবা বেতাজ বাদশা হিসাবে এলাকাবাসী চেনেন অনুব্রত মণ্ডলকেই। এক সময় লাল মাটির এই এলাকায় ‘কেষ্ট’-ই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে সর্বজনবিদিত। ফলত, এ দিন নাম না করে যে কাজল তাঁকেই কটাক্ষ করেছেন তেমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

