AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Physically Assault: ‘জল-মিষ্টি খেতেই জ্ঞান হারাই’, মহিলাকে বাসস্ট্যান্ড থেকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ; অভিযুক্ত বলছে, ‘উপকার করেছি’

Physically Assault: ওই মহিলা বলেন, "আমি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলাম। আমাকে এসে বলল, জল খাবে। আমি প্রথমে না বলি। তখন বলে, একটু খাও। এরপর জল-মিষ্টি খাই। তারপর আর আমার কিছু মনে নেই। কোথায় নিয়ে এসেছিল, জানি না।"

Physically Assault: 'জল-মিষ্টি খেতেই জ্ঞান হারাই', মহিলাকে বাসস্ট্যান্ড থেকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ; অভিযুক্ত বলছে, 'উপকার করেছি'
অভিযোগকারিণী মহিলাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2025 | 4:22 PM
Share

মল্লারপুর: বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত এক মহিলাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি বীরভূমের মল্লারপুর থানার কান্দিয়ারা গ্রামে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, সে ধর্ষণ করেনি। বরং মহিলার উপকার করেছেন।

নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ, গতকাল তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপেরবাড়ি যাওয়ায় জন্য মল্লারপুর থানার কান্দিয়ারা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে জল খেতে দেন। সেই জল খাওয়ার পর তিনি জ্ঞান হারান। তারপরই তাঁকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরে জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি ফোন করে ওই গৃহবধূ তাঁর মাকে জানান। মেয়ের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে মল্লারপুর থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার মা। এরপর নির্যাতিতার মাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মল্লারপুর থানার পুলিশ। সেখানে থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ওই মহিলা বলেন, “আমি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলাম। আমাকে এসে বলল, জল খাবে। আমি প্রথমে না বলি। তখন বলে, একটু খাও। এরপর জল-মিষ্টি খাই। তারপর আর আমার কিছু মনে নেই। কোথায় নিয়ে এসেছিল, জানি না। পরে আমার জ্ঞান ফিরতে আমাকে বলে, মুড়ি খাবে। আমাকে মুড়ি, চপ, পিঁয়াজি দেয়। একটু খেয়ে আর খাইনি।”

তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না প্রশ্নে ওই মহিলা বলেন, “অজ্ঞান অবস্থায় কী করেছে, বুঝতে পারিনি। জ্ঞান হওয়ার পর আমাকে কাপড় খুলতে বলেছিল। অভব্য আচরণ করে। আর ওই ব্যক্তি তো স্বীকার করেছে, যে ধর্ষণ করেছে।” অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের ফোন তাঁকে দিয়েছিল বলে জানান ওই মহিলা। সেই ফোন থেকেই তিনি মাকে ফোন করেন।

যদিও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি। সে বলে, “ধর্ষণ করিনি। ওর উপকারই করেছিলাম। শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে এসে ওখানে বসেছিল। আমি ওখানে গাড়ি দেখতে গিয়েছিলাম। বসে থাকতে দেখে সাহায্য করি। জল, মিষ্টি খাওয়াই। তখন মহিলা বলে, আমি ঘরে যেতে পারব না। প্রথম শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আবার ভালবেসে বিয়ে করেছি। দ্বিতীয় শ্বশুরবাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি তখন বলি, আমার ওখানে আশ্রয় নাও। ওর কাছে তো মোবাইল ছিল না। আমার মোবাইল থেকে ফোন করেছিল।” ধৃতকে এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।