AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘ছুরি নাচিয়ে বলেছে তুই থাকলে অসুবিধা হচ্ছে, হাইকোর্টের মামলা ছাড়, নয়ত জানে মেরে দেব’

Santiniketan: এমনকী, তাঁকে রাস্তায় ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর পিছু ধাওয়া করে বাগান বাড়ি পর্যন্ত যায় অভিযুক্ত। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড়।

Calcutta High Court: 'ছুরি নাচিয়ে বলেছে তুই থাকলে অসুবিধা হচ্ছে, হাইকোর্টের মামলা ছাড়, নয়ত জানে মেরে দেব'
আইনজীবী অনন্য রায় সরস্বতীImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2025 | 7:24 PM
Share

বীরভূম: কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে বেড়াতে এসে দুষ্কৃতীদের থ্রেট কালচারের মুখে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অনন্য রায় সরস্বতী। হাইকোর্টের মামলা ছেড়ে হুমকি ওই দুষ্কৃতীর। এমনকী, তাঁকে রাস্তায় ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর পিছু ধাওয়া করে বাগান বাড়ি পর্যন্ত যায় অভিযুক্ত। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড়। একজন আইনজীবীকেই যদি এই ভাবে হুমকি পেতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন? উঠছে প্রশ্ন।

বস্তুত, এর আগে বোলপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।কোথাও বা গালাগালি দেওয়া হচ্ছে পুলিশকে। কখনও কখনও আবার শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসা পর্যটকদেরও নানা সমস্যার মধ্যে মধ্যে পড়তে হয়। এই সবের মধ্যেই আবার আইনজীবীকে হুমকি রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

আইনজীবীর স্ত্রী শ্রেয়া রায় সরস্বতী বলেন, “অতীতে কখনও এমনটা হয়নি। এইবার আসার পর ক্রমাগত আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী ইলামবাজার গিয়েছি সেই সময়ও একই ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে খুবই ভয় লাগছে।” আইনজীবী অনন্য রায় সরস্বতী বলেন, “শান্তিনিকেতনে বাড়ি আছে। গরমের ছুটি আছে কোর্টে। সেই কারণে এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। গত চার তারিখে একটা হুমকি পাই ইলামবাজারের কাছে। একজন এসে গাড়ির কাচে টোকা মারে। তারপর বলছে তোকে হাইকোর্টের মামলা ছাড়তে হবে। তুই এই মামলায় থাকলে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। সরকারের কোনও মামলায় থাকবি না। তোকে জানে মেরে দেব। এরপর ছুরি নাচিয়ে বলল, পুলিশকে কিছু বলা যাবে না। পকেটে আছে। তারপর ওরা চলে যায়। এরপর ওসি ইলামবাজারকে পুরো বিষয়টি জানাই। এরপর ৫ তারিখে আমার বাড়ির সামনে ফের আবার আসে। তারপর বলছে, কী ঠিক করলি? তুই থাকলে আমাদের অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে।”