আড়াই ঘণ্টা পর ধরা দিলেন অনুব্রত, পৌঁছে গেলেন তারা মায়ের গর্ভগৃহে

রাত পোহালেই বীরভূমে ভোট। আর তার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) চোখে ধুলো দিয়ে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ালেন নজরবন্দি থাকা অনুব্রত (Anubrata Mondal)।

আড়াই ঘণ্টা পর ধরা দিলেন অনুব্রত, পৌঁছে গেলেন তারা মায়ের গর্ভগৃহে
তারাপীঠে অনুব্রত
Follow Us:
| Updated on: Apr 28, 2021 | 3:14 PM

তারাপীঠ: সকাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। বীরভূমের (Birbhum) এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত ছুটে বেড়িয়ে্ছে বাহিনীর গাড়ি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে তারাপীঠ মন্দিরে কার্যত নিজেই ধরা দিলেন তিনি। পুজো দিলেন সেখানে। এখানেই শেষ নয়। এরপরও তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত। ভোটের আগে তৃণমূলের এই বিতর্কিত নেতাকে নজরবন্দি করা কোনও নতুন ঘটনা নয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঙ্গলবারই তাঁকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের আগে গৃহবন্দি হয়ে থাকলেন না তিনি। সকাল সকালই বেরিয়ে পড়লেন বাড়ি থেকে। আর তাঁকে খুঁজতে কার্যত নাকাল হতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কখনও শোনা যায় রামপুরহাটে রয়েছেন তিনি, কণও জানা যায় সাইথিঁয়াতে। কিন্তু কোনোভাবেই তাঁকে খুঁজে পায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী বা কমিশনের আধিকারিকরা। পরে তারাপীঠ মন্দিরে দেখা যায় তাঁকে। তারা মায়ের গর্ভগৃহে গিয়ে পুজো দেন তিনি।

কোথায় ছিলেন? কেন ধরা দিচ্ছিলেন না? সেই সব প্রশ্নের উত্তরে চুপ থাকলেন তিনি। মায়ের কাছে কী প্রার্থনা করলেন? উত্তরে কেষ্টা বললেন, ‘যা বলার তাই বললাম।’ সূত্রের খবর পুজো দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। তারপর ফের যাবেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে।

আরও পড়ুন: সামনে থেকেই ‘হাওয়া’ অনুব্রতর কনভয়! মেঠো পথের চক্রব্যুহে দিগভ্রান্ত কমিশন

সকাল ১১.৪০ মিনিটে বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। তারপর দশ মিনিট বাদে তাঁর কনভয় অনুসরণ করতে শুরু করে কমিশনের আধিকারিকরা। কিন্তু, আচমকাই সকলের চোখে ধূলো দিয়ে অনুব্রতর কনভয় পুরো বেপাত্তা হয়ে যায়। হতভম্ব হয়ে যান আধা সামরিক বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, ভিডিয়োগ্রাফার- প্রত্যেকেই।

নজরবন্দি আগেও হয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু, তিনি যে ঘরে থাকবেন না মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন সে কথা। মঙ্গলবারই অনুব্রত বলেছিলেন, “বীরভূমের মানুষ নজরবন্দি করাতে আরও রেগে গেল। নজরবন্দি মানে তো গৃহবন্দি নয়। নজরবন্দি আবার কী? আমার সঙ্গে একটা ক্যামেরা থাকবে। আমি কী করছি, তা দেখবে তো! দেখুক।”