বীরভূম: দলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এক সুর অনুব্রত-মলয়ের গলায়। শনিবার সিউরিতে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মলয় মুখোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই মলয় বলেন, তৃণমূলের শত্রু তৃণমূলই। বিজেপি নয়। সেই একই সুর কেষ্টরও। তিনি বলেন, তৃণমূলের শত্রু বিজেপি নয়, কংগ্রেস নয়। তৃণমূলের শত্রু সিপিএম নয়। তৃণমূল শত্রু তৃণমূলই। কারণ এখানে এক কথা বলছে বাইরে গিয়ে এক কথা বলছে। তিনটে ছাগল থাকলে খুব মারামারি করে। তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চাটা খুব লাফায়। আর বাকি দুটো ছাগলের বাচ্চা ব্যাপক দৌড়ায়।
অন্যদিকে মলয়ের সাফ কথা, “আমাদের দলের শত্রু আমাদের দলের মধ্যেই রয়েছে। এই করতে করতে দলটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।” মলয়ের এই ‘ঘর শত্রু’ মন্তব্যকেই অনুব্রতর সমর্থন নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না পদ্ম শিবির। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলছেন, “বিজেপি কারও শত্রু নয়। তৃণমূল সবারই শত্রু। তৃণমূল এই রাজ্যবাসীর শত্রু। তৃণমূল যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেটা রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে করেছে। তাই তৃণমূলকে সরতেই হবে।” একদিকে একদিন সদ্য আবার একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল কাজল শেখ, অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই “কারও নাম না করে তাৎপর্যপূর্ণভাবে শতাব্দীকে বলতে শোনা যায়, কেউ হিরো হতে যাবেন না, দলে আছে বলেই আপনারা আছেন।”
এরইমধ্যে অনুব্রত-মলয়ের মতো দুই নেতার দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে এই মন্তব্যে দলেরই অন্দরে জোরদার চাপানউতোর যে শুরু হয়ে গিয়েছে তা তৃণমূল মুখুপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলছেন, দল বিষয়টাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে বীরভূমে কোর কমিটি করে দিয়েছেন স্বয়ং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ জনের এই কোর কমিটিতে কাজল শেখ রয়েছেন, আশিসদার মতো বরিষ্ঠ নেতারা রয়েছেন। আর সর্বোপরি বীরভূম জেলা নিজে মনিটর করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মলয়দা, কেষ্টদার যদি মনে হয় তাহলে ওনারা সরাসরি নেত্রীকে জানান বা আমাদের রাজ্যের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে জানান। দল নিশ্চয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। তবে প্রকাশ্য সভায় এই ধরনের মন্তব্য করলে কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়।
বীরভূম: দলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এক সুর অনুব্রত-মলয়ের গলায়। শনিবার সিউরিতে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মলয় মুখোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই মলয় বলেন, তৃণমূলের শত্রু তৃণমূলই। বিজেপি নয়। সেই একই সুর কেষ্টরও। তিনি বলেন, তৃণমূলের শত্রু বিজেপি নয়, কংগ্রেস নয়। তৃণমূলের শত্রু সিপিএম নয়। তৃণমূল শত্রু তৃণমূলই। কারণ এখানে এক কথা বলছে বাইরে গিয়ে এক কথা বলছে। তিনটে ছাগল থাকলে খুব মারামারি করে। তিন নম্বর ছাগলের বাচ্চাটা খুব লাফায়। আর বাকি দুটো ছাগলের বাচ্চা ব্যাপক দৌড়ায়।
অন্যদিকে মলয়ের সাফ কথা, “আমাদের দলের শত্রু আমাদের দলের মধ্যেই রয়েছে। এই করতে করতে দলটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।” মলয়ের এই ‘ঘর শত্রু’ মন্তব্যকেই অনুব্রতর সমর্থন নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না পদ্ম শিবির। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলছেন, “বিজেপি কারও শত্রু নয়। তৃণমূল সবারই শত্রু। তৃণমূল এই রাজ্যবাসীর শত্রু। তৃণমূল যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেটা রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে করেছে। তাই তৃণমূলকে সরতেই হবে।” একদিকে একদিন সদ্য আবার একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল কাজল শেখ, অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই “কারও নাম না করে তাৎপর্যপূর্ণভাবে শতাব্দীকে বলতে শোনা যায়, কেউ হিরো হতে যাবেন না, দলে আছে বলেই আপনারা আছেন।”
এরইমধ্যে অনুব্রত-মলয়ের মতো দুই নেতার দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে এই মন্তব্যে দলেরই অন্দরে জোরদার চাপানউতোর যে শুরু হয়ে গিয়েছে তা তৃণমূল মুখুপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলছেন, দল বিষয়টাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে বীরভূমে কোর কমিটি করে দিয়েছেন স্বয়ং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ জনের এই কোর কমিটিতে কাজল শেখ রয়েছেন, আশিসদার মতো বরিষ্ঠ নেতারা রয়েছেন। আর সর্বোপরি বীরভূম জেলা নিজে মনিটর করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মলয়দা, কেষ্টদার যদি মনে হয় তাহলে ওনারা সরাসরি নেত্রীকে জানান বা আমাদের রাজ্যের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে জানান। দল নিশ্চয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। তবে প্রকাশ্য সভায় এই ধরনের মন্তব্য করলে কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়।