Bagtui Massacre: ‘কেন বললেন শর্ট সার্কিটের কথা?’, বগটুইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই অনুব্রতকে চেপে ধরলেন সন্তানহারা বাবা
Anubrata Mondal: ভুল স্বীকারও করেন অনুব্রত মণ্ডল, এমনই দাবি তোয়েব আলির।
রামপুরহাটে (Rampurhat) বগটুই গ্রামের একই বাড়ি থেকে সাতজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় গত মঙ্গলবার। তার আগের দিনই এ গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু হয় বোমাবাজিতে। ভাদুর মৃত্যুর জেরেই রাতে গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুড়ে খাক হয়ে যায় জলজ্যান্ত সাতটা প্রাণ। বগটুই (Bagtui Massacre) গ্রামের এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে দাবি করে সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের তত্ত্ব ছিল, এ ঘটনা শর্ট সার্কিটের জেরে ঘটেছে। যা নিয়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। এমনকী পুলিশ প্রশাসনও এই তত্ত্বে সিলমোহর দেয়নি। অনুব্রতর এমন বক্তব্যের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল বগটুইয়ের মানুষ। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রত সেই গ্রামে গেলে বীরভূম তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামেরই এক যুবক। অগ্নিকাণ্ডে ছেলেকে হারিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় তুমুল অস্বস্তিতে পড়তে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই অনুব্রতকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তোয়েব আলি নামে সন্তান হারানো এক পিতা। পরিস্থিতি এমন হয় যে অনুব্রতকে ভুল স্বীকারও করতে হয়। বাতাসপুরের বাসিন্দা তোয়েব আলি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরিই বলি, যারা দুষ্কৃতী তাদের সাজা চাই। আনারুলকে সাজা দিতে হবে। ওকে ধরতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন। সে কথা রেখেছেন। পাশেই ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। আমি চার্জ করি, ‘কেন আপনি এই কথা বললেন?’ উনি বললেন ভুল হয়েছে।”