ED summons Abhishek Banerjee: চলতি সপ্তাহেই সাড়ে সাত ঘণ্টা জেরা, আবারও কয়লা কান্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ইডির
ED: সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ায় আবারও অভিষেককে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে।
কলকাতা: কয়লা কান্ডে (Coal Scam) ফের অস্বস্তিতে শাসকদল। আবারও দিল্লিকে তলব করা হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। চলতি সপ্তাহে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় অভিষেককে। সূত্রের খবর, ফের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। আগামী ২৯ মার্চ তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত সোমবারই দিল্লিতে ইডির দফতরে গিয়েছিলেন অভিষেক। সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সেই পর্ব সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায়।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, ছ’ জন আধিকারিক একইসঙ্গে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেদিন। দীর্ঘ এই জিজ্ঞাসাবাদে কী উঠে আসে তা স্পষ্ট নয়। তবে এরইমধ্যে আবারও অভিষেককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ায় আবারও অভিষেককে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে।
গত দু’ বছর ধরে এ রাজ্যের রাজনীতিতে কয়লা ও গরু পাচার কান্ড তোলপাড় তুলে চলেছে। প্রভাবশালী নেতা থেকে নামজাদা ব্যবসায়ী, পুলিশ কর্তা থেকে বিএসএফ আধিকারিক, নাম জড়িয়েছে অনেকেরই। একযোগে তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। সেই ঘটনায় গত লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎই উঠে আসে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
যদিও তৃণমূলের সাফ দাবি, সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই তলব-পর্ব। তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতেই এই চাল দিল্লির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে দাঁড়িয়েই বলেন, কোনওভাবেই তিনি মাথা নোয়াবেন না। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, “অনেকে ইডি, সিবিআইকে সামনে এগিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে। তারা ভাবছে আমি মাথানত করব। তাদের জন্য আমি পরিষ্কার জানিয়ে রাখি, আমি কিন্তু অন্য মেটেরিয়াল। এসবে আমি আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হব, আমার জেদ আরও বেড়ে যাবে। সকলে একরকম এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। আমার মানসিকতা কিন্তু অন্যদের থেকে আলাদা।” একইসঙ্গে অভিষেকের বক্তব্য ছিল, সারদা কিংবা নারদে এমন বহু নাম জড়িয়েছে, যাদের একবারও তদন্তকারীরা ডাকেনি। অভিষেকের তোপ, “তৃণমূলে থাকলেই চোর, অথচ বিজেপিতে নাম লেখালেই সাধু হয়ে যায়।”
আরও পড়ুন: Anarul Arrested on Bagtui Massacre: কে আনারুল হোসেন? কেন তড়িঘড়ি গ্রেফতার করালেন মমতা?