Anubrata Mondal: ‘বিনা নিমন্ত্রণে’ কেষ্টর দুয়ারে কড়া নাড়ল CBI, বাড়ি ঘিরে ফিরল কেন্দ্রীয় বাহিনী
Anubrata Mondal: কমলা রঙা লোহার গেটে ভিতের থেকে তালা। বাইরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে সিআরপিএফ জওয়ানরা।
বোলপুর: আক্ষরিক অর্থেই কেষ্টর দুয়ারে পৌঁছে গেল সিবিআই। সকাল সাড়ে ন’টা। সিআরপিএফ জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। কেষ্টর বাড়ির প্রত্যেকটা দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কমলা রঙা লোহার গেটে ভিতের থেকে তালা। বাইরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে সিআরপিএফ জওয়ানরা। সামনেই দাঁড়িয়ে সিবিআই আধিকারিকরা। বেলা পৌনে দশটা। অনুব্রতর বাড়ির পাশে গ্যারেজের গেট গিয়ে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই-এর আধিকারিক। এই গ্যারেজে বসেই দলীয় কাজকর্ম করে থাকেন অনুব্রতর। চতুর্দিকে ছয়লায় সিআরপিএফ জওয়ান। বাইরে তখন অত্যুৎসাহী প্রতিবেশী,স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়।
আঁচটা মিলেছিল মধ্যরাতেই। রাতেই বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআইয়ের তদন্তকারীদল। আর সকাল হতে না হতেই সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকেরা। জওয়ান দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় বীরভূল জেলা তৃণমূল সভাপতির বাড়ি। দাপুটে নেতাও হয়তো বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন। বাড়ির প্রত্যেকটা গেট তখন ভিতর থেকে তালা বন্ধ ছিল।
দৃশ্যটা এমন, সিবিআই আধিকারিকরা প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাড়ির চর্তুদিক ঘিরে ফেলেন। তারপর বাড়ির সামনের দরজা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। গেট তখন ভিতর থেকে তালা বন্ধ। মিনিট দশেক এই ভাবেই কাটে। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়ে। যে নেতার নামে বাঘ গরুতে এক ঘাটে জল খেত, সেই নেতার পরিস্থিতিতে দেখতে ভিড় জমান অত্যুৎসাহী পড়শিরা।
মেইন গেটের পাশেই গ্যারেজ। সেই গেট দিয়েই প্রথমে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই-এর এক আধিকারিক। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৯.৪৫ মিনিট। তবে অনুব্রতর নাগাল পান নি তিনি। কথা বলেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাড়ির ভিতরেই রয়েছেন সিবিআই-এর কয়েকজন আধিকারিক।
অনুব্রতর বাড়ির প্রধান গেটে এমনিতেই মোতায়েন থাকে কনস্টেবল পদমর্যাদার দুই পুলিশ কর্মী। সাধারণত, অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকতে গেলে তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তার পাশেই রয়েছে আরও একটি গেট, অর্থাৎ গ্যারেজের গেট, (যেটা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিক) সেখানেও মোতায়েন থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সিবিআই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই ভিতরে ঢোকেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর কার্যত এড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছে বাড়ির সামনে মোতায়েন কনস্টেবলকে। তিনি স্রেফ বলেছেন, “ভিতর থেকে সব গেট তালাবন্ধ।” উল্লেখ্য, অনুব্রতর বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই আঁটোসাঁটো যে গার্ড ইনচার্জেরও বাড়ির ভিতরে ঢোকার কোনও অনুমতি নেই। সেই অনুমতি কেবল আছে সিকিউরিটি ইনচার্জেরই। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, অনেকগুলি স্তরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মোড়া থাকে অনুব্রতর বাড়ি। অনুব্রতর বাড়িতে একাধিক গেট রয়েছে।