Anubrata Mondal: ‘পদ ভোলা’ পথিক! “জেল যখন খেটেছি…”, বৈঠক শেষে বার্তা কেষ্টর
Anubrata Mondal Core Committee Meeting: একটি উত্তর কলকাতা, যেখানে বীরভূম 'দাওয়াই' দিয়েছেন মমতা। অন্যটি, এই বীরভূম জেলাই। সেখানে একেবারের জন্য জেলা সভাপতির পাট চুকিয়ে দিয়েছেন তিনি। দায়িত্ব ভাগ হয়েছে কোর কমিটির ন'সদস্যের কাঁধে।

বোলপুর: তিনি পদের মায়া করেন না। রবিবার কোর কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ঠিক এমনটাই জানালেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল। পাশাপাশি, তাঁর আরও দাবি, জেলে যখন খাটা হয়েই গিয়েছে, তখন আর অন্য দলে গিয়ে কাজ নেই।
এদিন অনুব্রত জেলা সভাপতি পদ হারানোর পর প্রথমবার বৈঠকে বসেছিল বীরভূমের কোর কমিটি। দিনকতক আগেই সংগঠনে রদবদল করেছেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত রাজ্যের একাধিক জেলার সংগঠনের চেয়ারপার্সন বদল ছাড়া এই রদবদলে বিশেষ আর্কষণীয় হয়ে ওঠে দু’টি কেন্দ্র।
একটি উত্তর কলকাতা, যেখানে বীরভূম ‘দাওয়াই’ দিয়েছেন মমতা। অন্যটি, এই বীরভূম জেলাই। সেখানে একেবারের জন্য জেলা সভাপতির পাট চুকিয়ে দিয়েছেন তিনি। দায়িত্ব ভাগ হয়েছে কোর কমিটির ন’সদস্যের কাঁধে। বীরভূমে সভাপতি পদ একেবারের মতো তুলে দেওয়ার পর রবিবার ছিল সেখানকার কোর কমিটির প্রথম বৈঠক। যেখানে যোগদান করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলও। তিনি এখন জেলছাড়া। সভাপতি পদ ‘হারিয়েছেন’। কিন্তু ‘অপারেশন বোলপুর’ ছাড়েননি। নিজের মতো করেই ব্লকে ব্লকে ঘুরছেন, কর্মসূচি করছেন। সম্প্রতিই মারগ্রামে রয়েছে তাঁর বিরাট কর্মসূচি। এদিনের বৈঠকে তাতেও সবুজ সংকেত পেয়েছেন কেষ্ট।
তবে পদ হারিয়ে কি কোনও আপসোস রয়েছে তাঁর? অনুব্রত বলছেন, একদমই নয়। তাঁর কথায়, ‘পদ না পেয়ে অম্বল হবে, এরকম মানুষ আমি নই। আমায় তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার সাংসদ করতে চেয়েছিল। চাইলে তো তখনই হয়ে যেতাম। কবেই বিধায়ক, সাংসদ হতে পারতাম। কিন্তু ওই পদের মোহ আমি করিনা। মানুষের পাশে থাকলেই আমার কাজ।’ এরপরেই ইঙ্গিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে ঠুকে তিনি বলেন, ‘জেল যখন খেটেছি, তখন কোনও দিনই অন্য দলে যাব না। কারণ, অন্য দলে গেলে তো জেলও খাটতে হত না।’

