Anubrata Mondal: ‘ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছিলাম’, ভুলের ‘মাশুল’ দিতে প্রস্তুত অনুব্রত!

TMC: কানাঘুষো শোনা গিয়েছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য কোনও দলকে প্রার্থী দিতে দেননি কেষ্ট ও তাঁর অনুগামীরা। রীতিমতো রক্তক্ষয়ী নির্বাচনের সাক্ষী থাকে রাঙামাটি।

Anubrata Mondal: ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছিলাম, ভুলের মাশুল দিতে প্রস্তুত অনুব্রত!
অনুব্রত মণ্ডল, ফাইল চিত্র

| Edited By: tista roychowdhury

Nov 14, 2021 | 11:54 PM

বীরভূম: রাজ্য রাজনীতিতে তিনি বরাবরই ‘চর্চিত’। খানিক বিতর্কিতও বটে। তিনি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফের তাঁর মন্তব্যের জন্যই শিরোনামে অনুব্রত। এ বার, তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে পুরনির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন কেষ্ট মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে অনুব্রত বলেন, “ভোট হবে। ভোট করব। এটা আমি বলে রাখলাম ভোট করব। পুরসভার ভোট করব, পঞ্চায়েত করব। মানুষের রায়টা নেওয়া দরকার। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাকে যে কেন ২০১৮-তে ভুল করেছিলাম। অন্যায় করেছি। ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছি। এ বারে মানুষের রায় নেব। মানুষকে পাশে নিয়েই কাজ করব। সকলকে বলছি, আপনারা পাশে থাকবেন। মানুষ একবার ভুল করে, বারবার নয়।”

তাঁর আরও সংযোজদন, ‘‘দয়া করে কাজ করুন। আর একটা ভুল ধারণা যেন আপনাদের মনে না থাকে। পুরসভার ভোট আসছে। টাউনের প্রেসিডেন্ট আছেন। তাঁরা পুরসভা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। যাঁরা ব্লক প্রেসিডেন্ট আছেন তঁরা পঞ্চায়েত নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। ভোট হবে। ভোট করব। এটা কিন্তু আমি বলে গেলাম। পুরসভাতেও ভোট করব। পঞ্চায়েতেও ভোট করব। মানুষের রায়টা নেওয়া দরকার।’’

বীরভূম জেলা সভাপতির এ হেন মন্তব্যে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “তাও ভাল, যে ওঁ এ বার অন্তত ভোটটা করতে দেবেন বলেছেন। জনতার রায় নেবেন বলেছেন। এটাই তো কত্ত বড় কথা!”

প্রসঙ্গত, কানাঘুষো শোনা গিয়েছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য কোনও দলকে প্রার্থী দিতে দেননি কেষ্ট ও তাঁর অনুগামীরা। রীতিমতো রক্তক্ষয়ী নির্বাচনের সাক্ষী থাকে রাঙামাটি। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি ব্যবহারের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সেই অভিযোগকেই এদিন কার্যত মান্যতা দিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি। অনুব্রতর গলায় শোনা গেল অনুতাপের সুরও। তাঁর এই মন্তব্যে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বরাবর উঠে আসা বুথ দখলের অভিযোগও সত্যি?  যদিও সে বিষয়ে কোনও ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: রেডিমেড প্রার্থী নয়’, আদি সংগঠনে ‘আস্থা’ খুঁজছেন দিলীপ

আরও পড়ুন: আগামী মাসেই বঙ্গ সফরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব 

আরও পড়ুন: কথা রাখলেন ‘কেষ্ট’, দল থেকে বহিষ্কৃত চঞ্চল-খুনে ধৃত ৭ তৃণমূল নেতা