কলকাতা: গরু পাচার মামলায় দ্বিতীয় হাজিরা এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। নিজে না এলেও তাঁর হয়ে আইনজীবী এসে পৌঁছলেন নিজাম প্যালেসে। এর আগেও সিবিআই-এর তরফে হাজিরার জন্য নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল। আদালতের কাছে সময় চেয়েছিলেন অনুব্রত। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রথম হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি।
শুক্রবারও এড়ালেন হাজিরা। গরুপাচার মামলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেদিনও হাজিরা এড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২৫ ফেব্রুয়ারি ফের তাঁকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়। অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি আইনজীবীরা জানান। এদিন হাজিরা এড়িয়ে যান কেষ্ট। সূত্রের খবর, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতকে বেশ কিছু প্রশ্ন করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই নিয়ে মোট ৩ বার তাঁকে নোটিস পাঠানো হল।
তবে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, গরু পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। কিন্তু কলকাতায় সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, শারীরিক অসুস্থতার জন্য। বোলপুরে বাড়ির কাছাকাছি কিংবা কাছাকাছি কোথাও ডাকা হোক তাঁকে। এই মর্মে আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
পাশাপাশি অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সাইগেলে হোসেনকেও আজ তলব করা হয়েছিল। দেহরক্ষীও হাজিরা এড়িয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠিয়েছেন তিনিও।
এর আগে জানুয়ারি মাসেই সিবিআই তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তখন অবশ্য তাঁকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও তলব এড়িয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতারি আশঙ্কা করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জানুয়ারি মাসের শুরুতেই আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে রক্ষাকবচ দেয়। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতারি করা বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ যাতে না করা হয়, সেই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে তদন্তকারীদের সবসময় সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডল সাময়িক স্বস্তি পেলেও, গুরু পাচার মামলায় তাঁকে তলব করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: R G Kar Hospital: এত্তদিনে চোখেই পড়েনি কারোর, আরজিকর হাসপাতালে হদিশ মিলল গুপ্তধনের, বিশাল চমক!