বীরভূম : বগটুই-কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগে থেকেই গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত। বারবার তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা দিচ্ছেন না তিনি। আর এবার বগটুই-কান্ডে আদালতের এই নির্দেশ অনুব্রত-র চাপ বাড়াবে বলে যখন মনে করা হচ্ছে, তখন তৃণমূল নেতার মন্তব্যে বোঝাই গেল না যে তাঁর ওপর কোনও চাপ রয়েছে। আদালতের নির্দেশ যে তিনি মাথা পেতে নেবেন, তা সাফ জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশের কথা শুনে অনুব্রত মণ্ডল বললেন, কোর্ট রায় দিয়েছে। কোর্টের ওপর আর কিছু হয় না। কোর্ট যা বলবে, তাই হবে। আইন আইনের পথে চলবে। আর বগটুই-কান্ডের তদন্তে পুলিশ যে কোনও খামতি রাখছে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানান, অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন, বাকিরাও গ্রেফতার হয়ে যাবেন।
অনেকেই মনে করছেন, কান টানলে মাথা আসে। বিরোধীরা বলতে শুরু করেছেন, অনুব্রতর ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে পারে সিবিআই। গণহত্যার ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দিন সকালেও অনুব্রত দাবি করেছেন ওখানে শর্ট সার্কিট হয়েছে। তার মানে অনুব্রত আসল ঘটনা জেনেও ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি বিরোধীদের।
রামপুরহাটে বগটুই গ্রামের একই বাড়ি থেকে সাতজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় গত মঙ্গলবার। তার আগের দিনই তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু হয় বোমাবাজিতে। ভাদুর মৃত্যুর জেরেই রাতে গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই গ্রামের এই ঘটনাকে গণহত্যা বলে দাবি করেছে সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস।
তবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের তত্ত্ব ছিল, এ ঘটনা শর্ট সার্কিটের জেরে ঘটেছে। যা নিয়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। এমনকী পুলিশ প্রশাসনও এই তত্ত্বে সিলমোহর দেয়নি। অনুব্রতর এমন বক্তব্যের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন বগটুইয়ের মানুষ।
আরও পড়ুন : CBI on Bagtui Massacre: সিটের থেকে এফআইআর কপি চাইল সিবিআই, শনিবারই বগটুই যেতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা