Anubrata Mondal: এখনও ‘বাঘে’র দাপট অব্যহত! নিজে না গিয়ে আইনজীবীকে পাঠালেন অনুব্রত
Anubarat Mondal: বলা হয়, একসময় অনুব্রত মণ্ডলের নামে নাকি বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। শুক্রবার তিনি যেভাবে দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সেই তেজ কি আর নেই?

বীরভূম: সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় ছিল। থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হত বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। বোলপুর থানার আইসি-কে তিনি কী ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, সেই অডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে শনিবার সকাল ১১টায় ডেডলাইন শেষ হয়ে গেলেও সশরীরে হাজিরা দিলেন না তিনি।
বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পুলিশ অফিসারকে হেনস্থা করা ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি অডিয়ো ক্লিপ পোস্ট করেছিলেন। তারপরই প্রকাশ্যে আসে পুরো ঘটনা। সেখানে শোনা যায় আইসি-কে কার্যত হুমকি দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর দলের নির্দেশে চিঠি দিয়ে ক্ষমা চান অনুব্রত।
অফিসারকে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, সরকারি কর্মীকে হুমকির মামলা রুজু করা হয়েছে। কেষ্টর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলির বেশির জামিন-অযোগ্য। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, যতটা কড়া আইনি পদক্ষেপ করা যায়, তা করা হবে। এরপরই অনুব্রতকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে সশরীরে হাজির হলেন না অনুব্রত। ঘড়িতে ১১টা বাজতে যখন মাত্র কয়েক মিনিট দেরী, সেই সময় থানায় প্রবেশ করেন অনুব্রতর আইনজীবী। তবে কি সশরীরে না গিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে সেই দাপট এখন অব্যহত?
পুলিশ সূত্রে খবর, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। আইনজীবী মারফৎ চিঠিতে লিখেছেন সে কথা। আগামিকাল, রবিবার তাঁকে ফের এসডিপিও অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনেকেরই মনে থাকবে গরুর পাচার মামলায় নাম জড়ানোর পর বারবার তলব করা সত্ত্বেও হাজিরা দিতেন না অনুব্রত মণ্ডল। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন জেলা সভাপতির বাড়িতেই হাজির হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
