নানুর: জামিন পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। জামিনের খবর জানাজানি হতে খুশিতে আত্মহারা জেলার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরা। সেই খুশিতে গ্রামবাসীদের মাংস ভাত খাওয়ানো হল নানুরে। শুধু মাংস নয়, পাতে ছিল আলু পোস্ত, চাটনিও। তা নিয়েই চর্চা নানুরের রাজনৈতিক মহলে। কী বলছেন জেলার নেতারা? জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নানুরের তৃণমূল নেতা কেরিম খান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আইনের বেড়াজালে আটকে ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর জামিন হওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সাধারণ মানুষ সে কারণেই সেই আনন্দে সামিল হয়ে রাস্তায় পাত পেরে খেয়েছেন।”
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা মামলায় সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন সুকন্যা। যদিও একই মামলায় তাঁর বাবা অনুব্রত তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তবে জামিন মিললেও সুকন্যার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ শর্ত। তাঁর ‘গতিবিধির’ উপরেও থাকছে নজর। জামিনের ক্ষেত্রে মোট ৮ শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত।
১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মিলেছে জামিন। কিন্তু এখনই বিদেশ যাত্রার কোনও অনুমতি থাকছে না। এমনকী যে মোবাইল তাঁর কাছে থাকছে সেই নম্বর থাকবে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। নম্বর বদলাতে হলেও তাও জানাতে হবে তদন্তকারী অফিসারদের। একইসঙ্গে এই মামলায় কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। কোনওভাবেই মামলাকে প্রভাবিত করতে পারবেন না। ‘চেষ্টা’ হলেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন তদন্তকারীরা।