বীরভূম: বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে ২১ মার্চ রাতে অগ্নিনির্বাপণের দ্বায়িত্বে থাকা পাঁচ দমকল কর্মীকে তলব করল সিবিআই। এক দমকল আধিকারিক সাইদুল ইসলাম-সহ পাঁচ কর্মী সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দিয়েছেন। বগটুই গণহত্যায় প্রথম থেকেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিল পুলিশের ভূমিকা। এবার দমকলের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সিবিআই তদন্তে কঠিন-কঠিন প্রশ্নের মুখে দমকল এবং পুলিশ। ঘটনার দিন রাত ১০.২২ নাগাদ গ্রামে পৌঁছায় দমকল। তারপর ঠিক কী কী হয়? কেন সময় মত গ্রামে পৌঁছেও আগুন নেভাতে পারলেন না তাঁরা? সোনা শেখের বাড়িতেই বা কেন গেল না তাঁরা? এই রকমই একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, রাত্রি ১০.২২ নাগাদ এলাকায় পৌঁছয় দমকল। এরপর রাত ২টো নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান। কিন্তু তখনও সোনা শেখের বাড়িতে দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! যেখানে দমকলের কাজ আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসার কথা, সেখানে আগুন জ্বলার পরও কেন তাঁরা না নিভিয়ে বেরিয়ে এলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। আর এই সকল প্রশ্নের আসল কারণ এখনও সিবিআই গোয়েন্দাদের দমকল কর্মীরা দিতে পারেননি।
একই সঙ্গে সিবিআই জানতে পেরেছে, ওই দিন রাত্রিবেলা দমকল কর্মীরা আগুন লেগে যাওয়া প্রতিটি বাড়িতে খোঁজ নিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন কেউ ভিতরে আটকে রয়েছেন কি না। একমাত্র সোনা শেখের বাড়িতেই তাঁরা যাননি।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তো আগেই ছিল। এর আগে পুলিশ ও দমকল কর্মীদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এদিকে দমকলের থেকেও সূত্র মারফত বলা হয়েছে, সোনা শেখের বাড়িতে যে আগুন জ্বলছিল, সেই বিষয়ে দমকলকে নাকি সেই সময় পুলিশের থেকে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এমনই বেশ কিছু বিষয়ে আরও স্পষ্ট হতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।