বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে স্বজনহারাদের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হল। মৃতের দেহাংশের নমুনা আগেই সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল। দুটোকে মিলিয়ে দেখা হবে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনা হয় এই ঘটনায় ধৃত সমীর সেখকে। সমীর সেখ গণহত্যার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের শ্বশুর। তবে আদালত থেকে হাসপাতাল যাওয়ার পথে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর নাকি জানাই ছিল না, কী হয়েছে ওই রাতে। মিহিলাল শেখ ও তাঁর পরিবারের অনান্য জীবিত সদস্যদের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
বগটুই কাণ্ডে ধৃত ১৮ জনের মধ্যে কয়েক জনের পলিগ্রাফি টেস্ট করানো হবে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, পলিগ্রাফি টেস্ট কী? পলিগ্রাফি টেস্টের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হয়, উত্তর দেওয়ার সময়ে তাঁর অভিব্যক্তি পর্যালোচনা করা হয়। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি মিথ্যা বলছেন কিনা, তার অভিব্যক্তিতেই ফুটে ওঠে। এছাড়াও জেরা পর্বে ওই ব্যক্তির রক্তচাপও লক্ষ্য করা হয়।
গত ২১ মার্চ রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। ভাদু শেখের বাড়ি ছিল বগটুই গ্রামে। অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতেই বগটুইয়ে তাণ্ডব চলে। একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। একই বাড়ি থেকে সাতজনের খাক হয়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালেও দু’জন মারা যান। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। গত সোমবারই ৪ জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। মুম্বই থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সেই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি এই চারজন। জানা গিয়েছে, টেকনিক্যাল এক্সপার্টের সাহায্য নিয়েই এই সাফল্য এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হয়। অন্যদিকে ‘টাওয়ার ডাম্পিং’ও শুরু হয়। এরপরই জানা যায়, রামপুরহাট থেকে ট্রেনে মুম্বইয়ের পথে গিয়েছেন তাঁরা। রীতিমতে টিকিট কেটে ট্রেনে চেপে রাজ্য ছাড়েন চারজন। এমনকী সেখানে গিয়ে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়াও নেন। কাজকর্মের চেষ্টাও করছিলেন। তবে জাল পেতেছিল সিবিআইও।