Bagtui Massacre: সেদিনের নারকীয় কাণ্ডের শিকার এক জীবিত মহিলার অবস্থাও সঙ্কটজনক, পরিবারকে ফোন হাসপাতালের

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 28, 2022 | 12:50 PM

Bagtui Massacre: চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, নাজেমা বিবির রক্তচাপ অস্বাভাবিক রয়েছে।

Bagtui Massacre: সেদিনের নারকীয় কাণ্ডের শিকার এক জীবিত মহিলার অবস্থাও সঙ্কটজনক, পরিবারকে ফোন হাসপাতালের
বগটুই-কাণ্ডে জমা পড়ছে চার্জশিট (ফাইল ছবি)

Follow Us

বীরভূম: অত্যন্ত সঙ্কটজনক বগটুই হত্যাকাণ্ডের জীবিত সদস্য নাজেমা বিবি। পরিবারকে ইতিমধ্যেই ফোন করে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর থেকেই অত্য়ন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি নাজেমা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, নাজেমা বিবির রক্তচাপ অস্বাভাবিক রয়েছে। একই সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ ‘ফ্লুইড’ বেরিয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সারা শরীরে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে রক্তেও। মূত্রনালিতেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মাল্টি অর্গান ফেলিওয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। শরীরের কমেছে অক্সিজেনের মাত্রাও। রবিবারই তড়িঘড়ি তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হয়েছিল। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়। এরপরই মিহি লাল ও অনান্য পরিবারের সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছন।

সোমবার রাতে গণহত্যার আরও এক আক্রান্ত নাজেমা বিবি। তিনিও ঝলসে গিয়েছিলেন। তবে তাঁকে দমকলকর্মীরা উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। পাঠানো হয়েছিল আরও এক কিশোরকে। ওই কিশোর বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে গত দুদিন ধরে ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল নাজেমা বিবির। তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।

এদিকে, বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে যেতে অস্বীকার করেছেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে এই অবস্থায় সিবিআই ক্যাম্পে যাওয়া সম্ভব নয়। পারলে তাঁরা আসুন তাঁর বাড়িতে। প্রথমে তিনি সিবিআই ক্যাম্পে যেতে রাজি হন। পরে আবার সিবিআই-এর নম্বরে ফোন করে বলেন তিনি যেতে পারছেন না। বয়ান দিতে কেন সিবিআই-কে বাড়িতে ডাকলেন মিহিলাল? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিহিলাল একাধিক জনের পরামর্শ নিচ্ছেন। এবং তাঁদের পরামর্শেই মিহিলাল চান না সিবিআই ক্যাম্পে যেতে। প্রথম কারণ মিহিলাল ভয় পাচ্ছেন, ক্য়াম্পে গিয়ে জেরার মুখে পড়লে, কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনিও গ্রেফতার হতে পারেন। সেই ভয় রয়েছে মিহিলালের। কারণ ভাদু শেখ খুন ও তার পরবর্তী সময়ে তিনিও সেখানেই ছিলেন। এমনটাই পুলিশের কাছে খবর ছিল। সিবিআই-ও সেরকমই তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। মিহিলাল এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। গণহত্যার কিছুক্ষণ আগেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরিবারকে ফেলে পালিয়েছিলেন তিনি। সেদিন সন্ধ্যা থেকে ঠিক কী কী হয়েছিল, তা তিনি জানেন। অন্য কারণ, মিহিলাল সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই সিবিআই ক্যাম্পে যাওয়ার মতো তাঁর ক্ষমতা নেই। তারপরই হাসপাতালের তরফে মিহিলালের কাছে ফোন আসে। তিনি রওনা দেন হাসপাতালের উদ্দেশে।

আরও পড়ুন: জামা ছিঁড়ে কামড়ানোর চেষ্টা, হাতাহাতিতে ফিরহাদও! ‘লজ্জার’ ঘটনা বিধানসভায়… দেখুন ভিডিয়ো

Next Article