Rampurhat Case: কেন অনুব্রত বলছেন ‘শট সার্কিট’? রামপুরহাট-কান্ডে এবার মামলা হাইকোর্টে
Rampurhat Case: উপপ্রধান খুনের এক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে দাবি পুলিশের। মুখ খুলতে চাইছেন না প্রতিবেশীরা।
কলকাতা : সাত সকালে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সাতজনের অগ্নিদগ্ধ দেহ। রামপুরহাটের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলেও দাবি বিভিন্ন সূত্রে। রামপুরহাটে উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে। আর তারপরই এই আগুন লাগার ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক বদলা বলেও দাবি তুলছে বিরোধী শিবির। আর এবার এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার পথে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে মিলেছে মামলা করার অনুমতি।
মঙ্গলবার সকালেই বীরভূমের বগটুই গ্রামে একের পর এক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ দিনই এই ঘটনা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যেতি তিওয়ারি। মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। আর সে কথা উল্লেখ করেই এ দিন বিজেপি নেতা প্রশ্ন তোলেন, এরকম একটি ঘটনাকে কী ভাবে শর্ট সার্কিট বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে? বিজেপি নেতার আবেদন শুনে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
এ দিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করেছে রাজ্য। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিং-এর নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে ক্লোজ করা হয়েছে রামপুরহাটের আইসিকে, অপসারণ করা হয়েছে এসডিপিও সায়ন আহমেদকে। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রির্পোট চেয়েছেন।
তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, তিন চারটে বাড়িতে আগুন লেগেছিল শর্ট সার্কিট থেকে। তার জেরেই সাতজন মারা গিয়েছেন। দমকল গিয়ে আগুন নিভিয়ে দেয়। রাতভর বোমাবাজিও হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিছুই যদি না হয়ে থাকে তা হলে কেন রামপুরহাটের এসডিপিও, আইসিকে ক্লোজ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।