‘বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিলাম,’ শপথ বাক্য পড়ে অনুব্রত গড়ে তৃণমূলে যোগদান!

মুকুল রায় (Mukul Roy) শুক্রবার তৃণমূলে ফেরার পর এবার বিভিন্ন জেলায় তাঁর অনুগামীরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। যেসব জেলাগুলিতে মুকুল রায়ের দলবদলে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে, তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম।

'বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিলাম,' শপথ বাক্য পড়ে অনুব্রত গড়ে তৃণমূলে যোগদান!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 12, 2021 | 5:26 PM

বীরভূম: একুশের ভোটের ফল বেরতেই ফের শুরু হয়েছে দলবদলের হিড়িক। তবে এবার বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে (TMC) যোগদান শুরু হয়েছে। এদিন বীরভূমের সাঁইথিয়া বিধানসভার অন্তর্গত বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৭টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে যোগ দিল তৃণমূলে।

শনিবার অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বিজেপি ছেড়ে আগত কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কান্তি মণ্ডল। পাশাপাশি তাদের তৃণমূলে যোগদান করানোর আগে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। যেখানে বলা হয়, ‘বিজেপি করে ভুল করেছি। এবার থেকে তৃণমূল করব, তৃণমূলেই থাকব।’

বিজেপি থাকার সময় কোন পদে ছিলেন, নাম-ধাম বলার পর এই দলত্যাগীদের কাগজ ধরে পড়তে শোনা যায় যে, “ভুল করে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। এখন উন্নয়ন কর্মে শামিল হতে আজ থেকে তুষার কাণ্তি মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলাম।”

বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা প্রসেনজিৎ সাহা নামে এক কর্মীর কথায়, বনগ্রামে তৃণমূলে কার্যালয়ে এসে যোগ দিলাম।

প্রসঙ্গত, মুকুল রায় (Mukul Roy) শুক্রবার তৃণমূলে ফেরার পর এবার বিভিন্ন জেলায় তাঁর অনুগামীরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। যেসব জেলাগুলিতে মুকুল রায়ের দলবদলে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে, তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম।

২০১৯-এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের পরে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লাভপুরের তৎকালীন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসিফ ইকবাল এবং গদাধর হাজরা। এই তালিকায় পরে যুক্ত হন বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা।

আরও পড়ুন: মুকুলের পদ্ম ত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফুলবদলের ইঙ্গিত বাগদার বিধায়কের 

মনিরুল ইসলাম দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রাজ্য বিজেপিতে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি মনিরুল ইসলামকে। তবে তাঁর ছেলেকে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার স্থানীয় সদস্য করা হয়েছিল। তবে এখন বীরভূমে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগজদান পর্বে অনেকটাই নির্ভর করছে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ওপরে।