Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Birbhum BJP: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে থানার সামনে তৃণমূল কর্মীদের ‘পেটানোর নিদান’ বিজেপি নেতার

Birbhum BJP: দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, "যদি উলকুন্ডায় দাদাগিরি করতে পারে, ময়ূরেশ্বর থানার গেটে মারব।" বিজেপি নেতার মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে।

Birbhum BJP: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে থানার সামনে তৃণমূল কর্মীদের 'পেটানোর নিদান' বিজেপি নেতার
থানার সামনে তৃণমূল কর্মীকে পেটানোর নিদান দিয়ে বিতর্কে বিজেপি নেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2023 | 4:15 PM

বীরভূম: তৃণমূল নেতাকে থানার সামনে পেটানোর নিদান বিজেপি নেতার। সোমবার বীরভূমের উলকুন্ডা এলাকায় বিজেপির তরফে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয় । আর সেই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “যদি উলকুন্ডায় দাদাগিরি করতে পারে, ময়ূরেশ্বর থানার গেটে মারব।” বিজেপি নেতার মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে।

ঠিক কী বলেছেন বিজেপি নেতা?

বিজেপি নেতা শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “আমি আগেও অনেকবার বলেছি, আবারও বলছি। ভগবান করবেন কাকে? ভয় করবেন ভগবানকে। ওঁ যদি চমকাতে পারে, ধমকাতে পারে, যদি উলকুন্ডায় দাদাগিরি করতে পারেন, তাহলে থানার গেটে মারব। আপনারা কোনও চিন্তা করবেন না। এখানে যদি উলকুন্ডা অঞ্চলের একজনের গায়ে হাত লাগে, আপনারা নাম বলবেন, তারপর দিন থেকে আমাদের গায়ে আর কারোর গায়ে হাত পড়বে না।”

প্রসঙ্গত,  রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতারির অভিযোগ উঠছে। এমনিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলারও অভিযোগ উঠছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে বিজেপি নেতা বলেন, “যদি থানা পুলিশের কোনও ব্যাপার রয়েছে, আমাকে খবর দেন। আমার ফোন নম্বর নেবেন, আপনার কী অসুবিধা রয়েছে দেখে নেব। আপনাকে যদি মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ভরে, কী করে বের করে আনব আমার ব্যাপার, আপনারা দু-একদিন জেলখানায় থাকবে। আপনাকে রাজার হালে বার করে আনব। আর যেদিন জেলখানা থেকে বার করব, মালা পরিয়ে বার করে আনব।” সঙ্গে অবশ্য দলীয় কর্মীদের এটাও স্পষ্ট করে দেন, যদি তাঁরা কোনও অপরাধ করেন, ‘কারোর বউকে খুন করেন’ কিংবা ‘কারোর বাড়ি ভাঙচুর করেন’, তাহলে কিন্তু তিনি তাঁর পাশে থাকবেন না। অর্থাৎ সৎ ভাবে দলটা করলেই দলও যে তাঁর পাশেই দাঁড়াবে, সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন বিজেপি নেতা।

যদিও থানার সামনে পেটানোর নিদান ঘিরে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে কেউই হোক, তাঁরা  নেতারা আগে অকথা কুকথা বলেন, পরে কর্মীরা বলবেন। ওঁরা ভেবেছেন অনুব্রত মণ্ডল ভিতরে রয়েছেন, সেই ফাঁকে কয়েকটা বাজার গরম করা কথা বলে নেবেন।”