Birbhum Body Recover: শাড়ির আঁচলটা বেরিয়েছিল ঝোপের ভিতর থেকে, স্বামী পরিত্যক্তা পাড়ার বউয়ের শেষমেশ এই পরিস্থিতি! তাজ্জব পড়শিরা
Birbhum Body Recover: বাড়িতে অনেক সময়েই অনেকে যাতায়াত করতেন বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। তবে মঞ্জু জানাতেন, কাজের সূত্রেই প্রত্যেকের যাতায়াত।
বীরভূম: ঝোপের ফাঁক দিয়ে দেখা গিয়েছিল শাড়ির আঁচলটা। সকালে যাঁরা মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের সেটা দেখেই সন্দেহ হয়। ঝোপ সরিয়ে কাছে যেতেই দেখেন, আরে এ তো তাঁদের পাড়ারই বউ! কিন্তু এ কী অবস্থা। বছর পঁয়ত্রিশের মহিলার গলায় তখন শাড়ির ফাঁস। শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত। দৃশ্যত তা কোনও ধারালো বস্তুর আঘাত ছিল। যতক্ষণে মহিলাকে উদ্ধার করা হয়, মৃত্যু হয় তাঁর। সোমবার সাতসকালেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বীরভূমের কীর্ণাহার থানার হরনাগুন গ্রামে। মৃতের নাম মঞ্জু বাগদি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঞ্জু ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, টুকটাক নানা কাজ করে সংসার চালাতেন। বাড়িতে অনেক সময়েই অনেকে যাতায়াত করতেন বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। তবে মঞ্জু জানাতেন, কাজের সূত্রেই প্রত্যেকের যাতায়াত।
সোমবার সকালে হরণাণ্ডন পুর গ্রামের মাঠ থেকে মঞ্জুরই রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কীর্ণাহার থানার পুলিশ। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে, তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। কিন্তু এই খুনের নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আদৌ মহিলার সঙ্গে গ্রামের কোনও পুরুষের সম্পর্ক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মহিলার কোনও আত্মীয় ওই গ্রামে থাকেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “শাড়িটা যখন ঝোপের মধ্যে থেকে দেখতে পেয়েছিলাম, তখনও বুঝিনি. এমন কিছু দেখব। আমরা সবাই গিয়ে দেখি মেয়েটা ওইভাবে পড়ে রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে না কী ঘটনা।” খুনের আগে মহিলার ওপর শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।