‘মুকুলবাবু যতদিন আমাদের দলে ছিলেন কেস হয়েছে, এখন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হবে’, সিআইডি তলব প্রসঙ্গে দিলীপ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 05, 2021 | 11:14 AM

Dilip Ghosh: তিনি বলেন, "আমাদের দলে এলে, তাঁর বিরুদ্ধে কেস হবে, সিআইডি ডাকবে। যতদিন মুকুলবাবু আমাদের দলে ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক কেস হয়েছে, যখন তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিলেন তারপরে আর হয়নি।"

মুকুলবাবু যতদিন আমাদের দলে ছিলেন কেস হয়েছে, এখন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হবে, সিআইডি তলব প্রসঙ্গে দিলীপ
ছবি-Facebook

Follow Us

বীরভূম: “আমাদের দলে আসলেই তাঁর বিরুদ্ধে কেস হবে, সিআইডি ডাকবে।” প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যুতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে সিআইডি (CID) তদন্ত নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

তিনি বলেন, “আমাদের দলে এলে, তাঁর বিরুদ্ধে কেস হবে, সিআইডি ডাকবে। যতদিন মুকুলবাবু আমাদের দলে ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক কেস হয়েছে, যখন তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিলেন তারপরে আর হয়নি।”

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু মামলায় এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করেছে সিআইডি। সোমবার সকালে তাঁকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। সকাল ১১ টা নাগাদ ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। তবে শুভেন্দু এই তলবের চিঠি পেয়েছেন কি না, বা আদৌ তিনি সিআইডি-র ডাকে সাড়া দেবেন কি না, সেটা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, অন্যান্য মামলার মতো এই মামলাটির তদন্তভারও যাতে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও সেই মামলার এখনও কোনও ফয়সালা হয়নি আদালতে।

ঘটনাটি ২০১৮ সালের। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। সেই মামলার প্রায় তিন বছর পর গত জুলাই মাসে তদন্তের দাবি তুলে এফআইআর দায়ের করেন শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? সেই প্রশ্ন তুলে, সঠিক তদন্তের দাবিতে এফআইআর করেন নিহত দেহরক্ষীর স্ত্রী।

অভিযোগপত্রে সুপর্ণা উল্লেখ করেছিলেন, ২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে। একটি ফোনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী নাকি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুভব্রতকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পৌঁছন তাঁর স্ক্রী। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। দ্রুত তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হবে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পেতে অনেক দেরি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর সন্দেহ, ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেদিন দেরিতে এসেছিল? এফআইআর-এর বয়ানে সেই প্রশ্নই তোলেন সুপর্ণা।

কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, ২০১৮ সালের ঘটনার পর এতদিন কেন তিনি চুপ করে ছিলেন? স্বামীর মৃত্যুর পিছনে যে রহস্য রয়েছে, তা কি তাঁর বুঝতে দেরি হল? ২০২১ সালে এসে কেন তিনি এফআইআর করলেন?

এই নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্টত একে রাজ্য সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সিআইডি তদন্ত আদৌ নিরপেক্ষ হবে না, এই আশঙ্কা থেকেই তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন যেন মামলাটির তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জুলাই মাস থেকেই মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। শুভব্রতর পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়। একে একে ডেকে পাঠানো হয় শুভব্রতর তৎকালীন সহকর্মী তথা শুভেন্দুর বাকি দেহরক্ষীদের। তবে আর কোনও মামলায় এতদিন ডেকে পাঠানো হয়নি শুভেন্দুকে। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম কোনও মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালো সিআইডি। আরও পড়ুন: ‘ঘোরের মধ্যে শুনলাম কারা যেন বলল টেনে বের করে আনতে হবে’, মধ্য রাতে কলকাতায় ভয়াবহ ঘটনা

Next Article