বীরভূম: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করল সিবিআই। শুক্রবারই বীরভূমে সিবিআইয়ের একটি ইউনিট তাঁকে ডেকে পাঠায়। তবে সূত্রের খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জানান, তিনি অসুস্থ। তাই এই মুহূর্তে হাজির হতে পারছেন না। বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের অভিযোগে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তারই তদন্তে অনুব্রতকে ডাকা হয় বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার সিবিআইকে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের পরই সিবিআই চারটি জ়োনে ভাগ করে তদন্ত চালাচ্ছে। প্রত্যেক জ়োনের টিমে ২১ জন করে তদন্তকারী অফিসার বা আইও রয়েছেন। বেশিরভাগ ডিআইজি ও এসপি পদমর্যাদার কর্তা। বীরভূমে তাদের যে ইউনিট রয়েছে শুক্রবার সেখানেই অনুব্রত মণ্ডলকে ডাকা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের অভিযোগের তদন্তে কথা বলার জন্যই ডাকা হয় তাঁকে। এর আগে একাধিক গ্রেফতারও হয়েছে এই ঘটনায়।
সিবিআইয়ের দাবি, সেখান থেকে তদন্তের সূত্র ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁরা তলব করেছিলেন শুক্রবার। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল হাজিরা দেননি। পরবর্তীকালে আবারও তাঁকে নোটিস পাঠানো হবে বলেই খবর সূত্রের। সিবিআই মনে হচ্ছে, এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তবে দ্বিতীয় নোটিস কবে পাঠানো হবে, তা দিল্লির সদর দফতরে আলোচনার পরই চূড়ান্ত হবে।
গত ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন গোপালনগর গ্রামে গৌরব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজয় মিছিল করে স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা। সেই বিজয় মিছিল থেকে গৌরব সরকারের উপর চড়াও হন একদল যুবক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৌরবের বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনি তৃণমূলের লোক বলেই অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতারের পরদিনই ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সম্পাদককে একটি নোটিস দেওয়া হয়। সেই ঘটনার তদন্তে এবার অনুব্রতকে তলব।
শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন বিষয়ে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অনুব্রত মণ্ডল। এরপরই জানা যায়, সিবিআইকে তাঁর তরফে অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। সিবিআই প্রসঙ্গে তিনি কারও সঙ্গে কথা বলতে নারাজ। যেখানে যা বলার সেখানে বলবেন।