সাঁইথিয়া : বগটুই যাওয়ার পথে বাধা পেল বিজেপির প্রতিনিধি দল। রামপুরহাটে প্রবেশ করার অনেক আগেই আটকে গেল বিজেপির প্রতিনিধি দল। সাঁইথিয়া রোডে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে দাঁড় করানো ছিল একটি সিমেন্টের বস্তা বোঝাই ট্রাক। এ ভাবে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে ওই রাস্তায়। বিজেপির দাবি ওই যানজট স্বাভাবিক নয়। বিজেপিকে বাধা দেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ রওনা দেয় বিজেপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সাঁইথিয়া রোডের ওপর দিয়েই যাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললেও এখনও অবধি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। সাঁইথিয়া রোডের ওপরই দু’টি লরি প্রথমে খারাপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফলে মাঝখান থেকে গাড়ি যাওয়ার কোনও রাস্তাই ছিল না। ফলে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ির মধ্যেই আটকে ছিলেন চার প্রাক্তন আইপিএস সহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
এরপরই দেখা যায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে নেই কোনও চালক। ফলে আবারও বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতারা। গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা। তবে সাঁইথিয়া থেকে রামপুরহাট অনেকটাই দূর। তাঁরা কী ভাবে পৌঁছবেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। একটু এগিয়ে থানার সামনে বসে পড়েন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন।
মোট পাঁচজন রয়েছেন এই দলে। রয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল (উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি), সাংসদ সত্যপাল সিং (মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার), সাংসদ রামমূর্তি (প্রাক্তন আইপিএস, কর্নাটক), বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি সাংসদ তথা সর্বভারতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ (প্রাক্তন আইপিএস , পশ্চিমবঙ্গ)।
এ দিকে, এ দিনই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাতে যাঁদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা। বগটুই-কান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, স্বজনহারাদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেকও তুলে দিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: ‘যাঁদের ঘর-বাড়ি পুড়েছে তাঁরা ২ লাখ, সঙ্গে পাবেন সরকারি চাকরি’