বীরভূম: বোলপুরে নির্যাতিতা নাবালিকার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। বুধবার তার একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। তারপরই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে তার। চিকিৎসকরা তাকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রয়েছে। পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে এখনও সে মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত। তার মানসিক চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা সাতটা-সাড়ে সাতটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানকার যে অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁদেরই তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওই নাবালিকা।
গত ১১ এপ্রিল সোমবার বীরভূমের বোলপুরে আদিবাসী পাড়ায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে আসে। নারকীয় এই অত্যাচারের ঘটনায় নাম জড়ায় নিজের বাবা-সহ চারজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবতী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, তার বাবা সহ চারজন মিলে তার উপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছেন।
অভিযোগ, প্রথমে স্থানীয় এক যুবক ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। কাউকে সেই কথা জানালে তাকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সেই ভয়ে তরুণী কাউকে কিছু না জানিয়ে মাসির বাড়ি চলে যায়। পরে চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফেরে। এর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই ফের বাবা-সহ এলাকার কিছু যুবক তাকে পুনরায় ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনাটি ওই তরুণী মাসির মেয়েকে জানায়। বোনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি গিয়েই পুলিশে অভিযোগ জানান। ঘটনার দিনই একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায়। এরপর মঙ্গলবার ধর্ষণে অভিযুক্ত বাবা-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।