Lalan Sheikh Death: হার্ড ডিস্কে বন্দি ‘গণহত্যা’র কোন রহস্য? কেন এত মরিয়া CBI?
Lalan Sheikh Death: সিবিআই সূত্রে খবর, লালন শেখের বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় লাগানো ছিল সিসিটিভি। তারই হার্ড ডিস্ক খুঁজছে সিবিআই।
বগটুই : সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সামেন আসছে একটি হার্ড ডিস্কের কথা। লালনের পরিবার দাবি করেছে, সোমবার দুপুরেই লালন শেখকে (Lalan Sheikh) নিয়ে তাঁর বাড়ি ও তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে হার্ড ডিস্ক খুঁজতে গিয়েছিলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকেরা। হার্ড ডিস্কের জন্য নাকি রীতিমতো চাপ দেওয়া হচ্ছিল লালন শেখকে! পরিবার তেমনটাই দাবি করেছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লালনের দেহ উদ্ধার হয়। অন্যদিকে, লালনের পরিবারের আরও দাবি, হার্ড ডিস্ক নাকি তাঁদের কাছে নেই, মূল ঘটনার রাতেই চুরি হয়ে গিয়েছে। কী এমন ছিল সেই হার্ড ডিস্কে? বগটুই-গণহত্যার রাতের কোন রহস্য ফাঁস করতে পারে সেই যন্ত্র?
সিবিআই সূত্রে খবর, লালন শেখের বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় লাগানো ছিল সিসিটিভি। তারই হার্ড ডিস্ক খুঁজছে সিবিআই। ২১ মার্চ ওই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই হাইকোর্ট সিবিআই-কে ঘটনার তদন্তভার দিয়েছিল। এরপর ৩১ মার্চ সিবিআই আধিকারিকরা লালনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। দেখা যায় লালনের বাড়িতে তালা দেওয়া, ভিতরে ছিল একটি কুকুর। তালা খুলে কুকুরটি উদ্ধার করে সিবিআই, কিন্তু কারও দেখা মেলেনি। লালনেরও কোনও খোঁজ ছিল না।
কিন্তু সূত্রের খবর, বগটুই-কাণ্ডে ধৃতদের বয়ান থেকে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর লালনের বাড়িতেই নাকি মিটিং হয়েছিল। বাড়ির ভিতরে, বাড়ির উঠোনে কথাবার্তা হয়েছিল। তাই ওই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে, ওই বাড়িতেই বগটু গণহত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
গত ৩ ডিসেম্বর লালন গ্রেফতার হওয়ার পর তাই নতুন করে হার্ড ডিস্ক খুঁজতে তোড়জোড় শুরু করে সিবিআই। গোয়েন্দারা ওই হার্ড ডিস্ক পেতে মরিয়া হয়ে উঠলেও লালনের পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করেছে, হার্ড ডিস্ক নেই। লালনের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ও আত্মীয়রা জানিয়েছেন, লালনকে হার্ড ডিস্কের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর ভাগ্নি বুলটি খাতুন দাবি করেছেন, সিবিআই আধিকারিকরা সোমবার দুপুরে নাকি বলে গিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হার্ড ডিস্ক চাই। বুলটির আরও দাবি, বগটুই-এর ঘটনার রাতে তাঁরা সবাই হাসপাতালে ছিলেন, বাড়ির দরজা খোলা ছিল, সব চুরি হয়ে গিয়েছিল।
গোয়েন্দাদের দাবি, ৩০ মার্চ যখন গিয়ে দরজা খোলা হয়েছিল, তখন চুরির কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। কুকুরকে বের করেছিলেন অফিসাররাই। তাহলে কি কারও চাপে হার্ড ডিস্ক সামনে আনা হচ্ছে না? রহস্য রয়েই যাচ্ছে।