Rampurhat Medical College: অক্সিজেন ছাড়াই দেওয়া হল সিলিন্ডার, মৃত্যু শ্বাসকষ্টের রোগীর, গুরুতর অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে

Birbhum: বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা রাজেন্দ্র প্রসাদ দত্ত। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর শনিবার তাঁর শারীরিক অসুস্থতা বাড়ায় রাজেন্দ্রকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে জেনারেল থেকে সিসিইউ-তে (CCU) স্থানান্তরিত করে হাসপাতাল।

Rampurhat Medical College: অক্সিজেন ছাড়াই দেওয়া হল সিলিন্ডার, মৃত্যু শ্বাসকষ্টের রোগীর, গুরুতর অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে
মৃত্যু রোগীরImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2024 | 7:30 PM

রামপুরহাট: রোগীর মৃত্য ঘিরে তুলকালাম সরকারি হাসপাতাল চত্বর। পরিবারের অভিযোগ, সময় মতো মেলেনি স্ট্রেচার। উপরন্তু দেওয়া হয়নি অক্সিজেন। সিলিন্ডার লাগান হয়েছিল বটে, তবে তাতে ছিল না অক্সিজেন। এর ফলেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা।

বীরভূমের মল্লারপুরের বাসিন্দা রাজেন্দ্র প্রসাদ দত্ত। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর শনিবার তাঁর শারীরিক অসুস্থতা বাড়ায় রাজেন্দ্রকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে জেনারেল থেকে সিসিইউ-তে (CCU) স্থানান্তরিত করে হাসপাতাল।

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, একটা স্ট্রেচার পাওয়ার জন্য তাঁদের তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। পরে কোনও মতে স্ট্রেচার জোগাড় হলে দুপুর নাগাদ সিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরিবারের দাবি, জেনারেল থেকে সিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজেন্দ্রকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়। তবে তাঁর ভিতরে ছিল না অক্সিজেন। তার জেরেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। মৃতের মেয়ে বেবি মণ্ডল বলেন, “সুগার ফল্ট হয়েছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। ভালই ছিল। দেখতেও এলাম। ডাক্তারবাবু বললেন আপনারা আইসিইউতে ভর্তি করুন। এবার তিন ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার পরও স্ট্রেচার পাইনি। তারপর আবার খালি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছে।”

এরপরই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। হাসপাতালের খারাপ পরিষেবা নিয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রামপুরহাট থানার পুলিশ। পরে হাসপাতালের এমএসভিপির রোগীর পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, “একটা সমস্যা হয়েছে। আমি বলেছি ওদের লিখিত দিতে। আমি এটা নিয়ে তদন্ত করব।”