Birbhum: বীরভূমে প্রথমবার জঙ্গলমহল উৎসব, প্রচারে সেই ডেউচা পাচামি কয়লা শিল্প

Birbhum: সোমবার রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে জঙ্গলমহল উৎসব। জঙ্গলমহল উৎসব অষ্টম বছরে পা দিলেও এই বছর অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় প্রথমবার পালিত হল এই উৎসব।

Birbhum: বীরভূমে প্রথমবার জঙ্গলমহল উৎসব, প্রচারে সেই ডেউচা পাচামি কয়লা শিল্প
বীরভূমে প্রথমবার পালিত হল জঙ্গলমহল উৎসব। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2022 | 10:17 PM

বীরভূম: সোমবার রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে জঙ্গলমহল উৎসব। জঙ্গলমহল উৎসব অষ্টম বছরে পা দিলেও এই বছর অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় প্রথমবার পালিত হল এই উৎসব। যেখানে প্রচার করা হল ডেউচা পাচামি কয়লা শিল্পের (Deocha Pachami Coal Project)। যেই শিল্পদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিগত কিছুদিন ধরে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে আদিবাসী আন্দোলন।

এদিন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের তরফ থেকে ডেউচা গৌরাঙ্গিনী হাইস্কুল ময়দানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক অভিজিৎ সিং, বিকাশ রায় চৌধুরী, এসবিআই চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল- সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক। আদিবাসীদের নিয়ে নাচগানের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পাতার মুকুট দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেন আদিবাসীরা।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই অনুষ্ঠানের আগাগোড়া প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি প্রত্যেকের বক্তব্যেই শোনা যায় ডেউচা পাচামি কয়লা খনি শিল্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গ। জঙ্গলমহল উৎসব পালনের মাধ্যমে ডেউচা পাচামিতে বসবসকারী আদিবাসীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনই প্রশাসনের লক্ষ্য, তা একেবারেই স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহল উৎসব অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন। তবে বীরভূমে এই অনষ্ঠান পালন হল প্রথমবার যখন সরকার বিরোধিতায় মুখর হয়েছেন আদিবাসীদের একাংশ। এঁরা কেউ কয়লা খনি শিল্পের জন্য নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়তে নারাজ। সরকার বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণের কথা বললেও তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অটল। এই পরিস্থিতিতে আদিবাসীদের জন্য উৎসবের আয়োজন করে সরকার যে তাঁদের পাশে আছে, এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার অবশ্য বড় ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। করোনা বিধি নিষেধ মেনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একইভাবে ঝাড়গ্রাম, খড়গপুর, আদিবাসী অধ্যুষিত বিভিন্ন জায়গায় পালিত জঙ্গলমহল অনুষ্ঠান। এদিন ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আবার করোনার চোখরাঙানি কে উপেক্ষা করে মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়েছে জঙ্গলমহল উৎসব। এদিন মন্ত্রী-সহ জেলা প্রশাসনের এক ঝাঁক আধিকারিকের উপস্থিতিতে মেদিনীপুর শহরের জেলা কালেক্টরের প্রাঙ্গণে অষ্টম বর্ষ জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা হয়। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা সহ শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, জেলাশাসক রেশমি কোমল সহ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।

আরও পড়ুন: Banglar Siksha Durbhase: ইন্টারনেট নয়, ফোনেই মিলবে শিক্ষকদের ‘গাইডেন্স’, ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ দূর করতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের 

আরও পড়ুন: International Kolkata Book Fair: পিছিয়ে গেল কলকাতা বইমেলা, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কে শুরু বইয়ের উৎসব