
নানুর: ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ বিতর্কে শোরগোল থামছেই না। বারবার অনুব্রতকে ডেকেও সাড়া পায়নি পুলিশ। এরইমধ্যে এক্কেবারে বেড রেস্টে চলে গিয়েছেন এককালের বীরভূমের বেতাজ বাদশা। যদিও শীঘ্রই সময় পেলে তাঁকে দেখতে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। এই কাজলের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়েও চর্চা কম হয়নি। এবার শুভেন্দুকে কোর্টে টেনে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কাজল। তাঁর সাফ কথা, জবাব ওনাকে দিতেই হবে।
প্রসঙ্গত, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বিজেপির হাত ধরে একটি অডিয়ো ক্লিপ বাইরে এসেছে। সেখানেই শুধু ওই পুলিশ কর্মী নন, তাঁর পরিবারেরর লোকজনকেও কদর্য আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই অনুব্রতকে ক্ষমা চাইতে বলে দল। ক্ষমাও চান। যদিও অনুব্রত অনুব্রত অনুগামীদের একাংশের মতে, এর পিছনে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত। তাঁদের কেষ্টদা কিছুই করেনি। অন্যদিকে শুভেন্দুর দাবি, অডিয়ো ভাইরালের পিছনে রয়েছে কাজলের হাত। যদিও কাজলের দাবি, পুরোটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ। নানা কথা শোনা গেলেও তাঁর সঙ্গে অনুব্রতর কোনও ‘বিরোধ’ নেই। তাঁর সাফ কথা, “আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারবেন আমার সঙ্গে কেষ্টদার তুতু ম্যা ম্যা হয়েছে? হয়নি।”
এরইমধ্যে শুভেন্দু অধিকারীরের প্রসঙ্গ উঠতেই কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন কাজল। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে বললেন, “আমাদের বিরোধী দলনেতা ১০০টার মধ্যে ৯৯টা মিথ্যা কথা বলেন। যাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিল তিল করে নিজের হাতে গড়েছেন। তিনি আজ সেই মায়ের উদ্দেশ্যেই উল্টো-পাল্টা কথা বলেন।” এখানেই না থেমে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, “শুভেন্দুই সংবাদমাধ্যমে এসব বলেছেন। বীরভূম জেলার সভাধিপতি কাজল শেখের নাম নিয়েছেন। ওনার সঙ্গে আমার আদালতে দেখা হবে। ওনাকে আদালতে এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। আদালত পর্যন্ত ওনাকে আমি টেনে আনব।”