
বোলপুর: আগে থেকেই তোড়জোড়টা চলছিল পুরোদমে। দলের সেনাপতির ছবিতে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা এলাকা। ছিল এক্কেবারে সাজ সাজ রব। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ৩৮ বছরের জন্মদিন উপলক্ষে কঙ্কালীতলায় ৩৮টি ডালি সাজিয়ে পুজো দিতে দেখা গেল বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। এখানেই শেষ নয়। দেবীর সামনে অভিষেকের ছবি সামনে রেখে চলল পুজো। একইসঙ্গে কাটা হল ৩৮টি কেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা কামনা রক্তদানও করলেন ৩৮ জন।
কাজল শেখ বললেন, “আমাদের সকলের পক্ষে তো কলকাতায় গিয়ে যুবরাজকে শুভকামনা জানান সম্ভব নয়। তাই মায়ের কাছেই তাঁর সুস্থতা কামনা করলাম। বাংলার ভাল চেয়ে পুজোও দিলাম। রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। কেকও কাটি আমরা। প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষের জন্য় এখানে ভোগেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
তবে পুজো দিতে গিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপও দাগলেন। একদিন আগেই বীরভূমে পা পড়েছিল সুকান্তর। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন বাণিজ্য-শিক্ষা সম্মেলনে। পরবর্তীতে বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন। সেখানেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তোপের পর তোপ দাগেন। এই সুকান্তকেই এবার একহাত নিলেন কাজল। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেন, “তিনি সমস্ত জায়গাতেই ভুলভাল বকেন। সে কারণেই ওনাকে দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ভুলভাল বকছেন যাতে একটু টিআরপি পায়। বীরভূমে এসে এইসব বলে কোন লাভ হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস অনেক বড় পরিবার। বড় পরিবারে দ্বন্দ্ব হতেই পারে। কিন্তু ভোট আসুক। দিনের শেষে দেখবেন ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসই জয়ী হয়েছে।”
তবে অভিষেকের জন্মদিনে যেভাবে কাজলকে যেভাবে আনন্দযজ্ঞে সামিল হতে দেখা গেল সেভাবে ময়দানে দেখা গেল না অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, এদিন বিভিন্ন প্রসাশনিক ও রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন কেষ্ট। ব্যস্ত ছিলেন দলের এসআইআর ক্যাম্প নিয়েও।